রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ভিভিইআর-১২০০ চুল্লিপাত্র (রিয়্যাক্টর ভেসেল) এবং একটি স্টিম জেনারেটর পাঠিয়েছে রাশিয়ার যন্ত্র উৎপাদকারী সংস্থা জেএসসি অটোমেনারগোম্যাশ। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জন্য সমুদ্রপথে এসব যন্ত্রপাতি পাঠানো হয়েছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালে এবং দ্বিতীয় ইউনিট ২০২৪ সালে উৎপাদনে আসার কথা রয়েছে। রোসাটমের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জেএসসি অটোমেনারগোম্যাশের মহাপরিচালক আন্দ্রেই নিকিপেলোভ বলেন, গুণগত মানের যন্ত্রাংশ উৎপাদন এবং সেগুলো সময়মত সরবরাহ করাই আমাদের অগ্রাধিকার। করোনাভাইরাস এর কারণে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমরা চুক্তির শর্ত অনুযায়ী রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম চুল্লির সরঞ্জাম পাঠাতে সক্ষম হয়েছি। এসব সরঞ্জাম গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লাগবে। এগুলো ১৪ হাজার কিলোমিটার সমুদ্রপথ অতিক্রম করে বাংলাদেশের রূপপুরে এ বছরের শেষ দিকে পৌঁছাবে।
ভিভিইআর-১২০০ চুল্লি বিশিষ্ট পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কল্পনাতীত। এ কারণে এ ধরনের পরমাণু কেন্দ্র থ্রি প্লাস জেনারেশন শ্রেণিভুক্ত। এ ধরনের ভারী সব যন্ত্রপাতি স্থানান্তর জটিল প্রক্রিয়া সম্পন্ন। চুল্লি পাত্রটির ওজন ৩৩৩.৬ টন এবং স্টিম জেনারেশনের ওজন ৩৪০ টন। এগুলো নভোরোসিয়েস্কে পৌঁছাবে এরপর সেখান থেকে কৃষ্ণসাগর ও সুয়েজ খাল হয়ে বাংলাদেশে রূপপুরে পৌঁছাবে।
রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দু’টি ইউনিটের জন্য জেএসসি অটোমেনারগোম্যাশ ১৪ ধরনের সরঞ্জাম প্রস্তুত করবে। এগুলোর মধ্যে চুল্লি, স্টিম জেনারেশনের যন্ত্রাংশ, প্রধান সঞ্চালন পাইপ লাইন, প্রধান সঞ্চালন পাম্প, চাপ কমানো যন্ত্র, জরুরি শীতলকরণ ব্যবস্থা, নিষ্ক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়াও টারবাইন হলেন জন্য উচ্চচাপ তৈরির হিটার, ভ্যাকুয়াম, কনডেনসেট, ফিড পাম্প, টারবাইন ইউনিট পুনরায় গরম করার যন্ত্র। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ১৩ হাজার টনের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরি ও সরবরাহ করবে জেএসসি অটোমেনারগোম্যাশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন