শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

কুয়েতে অর্থনৈতিক সংকট, নভেম্বরের পর বেতন দিতে না পারার শঙ্কা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০২০, ২:০৫ পিএম

বৈশ্বিক করোনায় সৃষ্ট লকডাউনে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ কুয়েতে অর্থনৈতিক সংকট চলছে, যা সামনের দিনে আরও ভয়াবহ রুপ নেবার আশংকা করছেন অনেকেই। দেশে দেশে লকডাউনে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ বছর জ্বালানি তেলের দাম ছিল সর্বনিম্ন। ফলে বিপদে পড়েছে তেলসমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশ কুয়েত।
দেশটির অর্থমন্ত্রী সংসদকে সতর্ক করে বলেছেন, তহবিল সংকটের কারণে আগামী নভেম্বরের পর সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন দেওয়া সম্ভব হবে না।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদ পর্যবেক্ষণ সংস্থা মিডল ইস্ট মনিটরের অনলাইন প্রতিবেদন জানানো হচ্ছে, গত বুধবার দেশটির অর্থমন্ত্রী বারাক আল-শেতান পার্লামেন্টকে সরকারের তহবিল সংকটের এ কথা জানান।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী কুয়েতের অর্থমন্ত্রী আল-শেতান নিশ্চিত করেছেন যে, করোনাকালে তার দেশের সরকার রাষ্ট্রীয় রিজার্ভ তহবিল থেকে প্রতিমাসে প্রায় ১৭০ কোটি কুয়েতি দিনার উত্তোলন করছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪৭ হাজার ৯০ কোটি টাকার বেশি। তেলের দাম যদি না বাড়ে কিংবা সরকার যদি অভ্যন্তরীণ উৎস অথবা আন্তর্জাতিক বাজার থেকে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ঋণ না পায় তাহলে শিগগিরই কুয়েতে তারল্য শূন্যের কোটায় নামবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী আল-শেতান আরো ইঙ্গিত দিয়েছেন, বিগত অর্থবছরে কুয়েতের বাজেট ঘাটতি ৬৯ শতাংশ বেড়ে ৫৬৪ কোটি দিনারে গিয়ে ঠেকবে এবং সরকার অনুমান করছে, আগামী ৩১ মার্চ শেষ হতে যাওয়া চলতি অর্থবছরে দেশের বাজেট ঘাটতির পরিমাণ হবে এক হাজার ৪০০ কোটি দিনারের বেশি। তিনি জানান, সরকারি ব্যয়ের ৭৬ শতাংশই বেতন-ভাতা। আল-শেতান বলেন, ‘ফলে মাঝারি থেকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ সংকটের কারণে জনসেবাখাতে ব্যয়ের ক্ষেত্রে আরো মিতব্যয়ী হতে হবে সরকারকে’।
আইএমএফ বলছে নগদ অর্থের যোগান দুর্বল হওয়ায় কুয়েত সরকারের আর্থিক প্রয়োজন আরো দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাবে।
অন্যদিকে, কুয়েতের সংসদ সদস্য রিয়াদ আল-আদসানি বলেন, অর্থমন্ত্রীর উচিত পদত্যাগ করা। কারণ তিনি কুয়েতের নাগরিকদের বেতন দিতে পারবেন না এমন শঙ্কা দেখিয়ে বরং হুমকি দিচ্ছেন। তিনি সংকট মোকাবেলায় দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন না। তবে কুয়েতের অর্থনীতি বিপাকে পড়ার মূল কারণ তেলের দর পতন ও ওপেকের চুক্তি অনুসারে তেলের উৎপাদন হ্রাস করা।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
AK aman ২৩ আগস্ট, ২০২০, ৪:৪৮ পিএম says : 0
Arab idiots just sell oil and live , why dont you invest on high tech industry like cars ....to earn revenue . All big head arabs will be begger very soon include saudi
Total Reply(0)
সোহরাব হোসেন ২৩ আগস্ট, ২০২০, ৫:৪২ পিএম says : 0
শুধু কুয়েত না অনেক দেশেই এই একই সমস্যার মুখোমুখি হবে
Total Reply(0)
খাইরুল ইসলাম ২৩ আগস্ট, ২০২০, ৫:৪৩ পিএম says : 0
তোদের দেশের অবস্থা কি হবে তা আল্লাহই ভাল জানে
Total Reply(0)
আশিক মুস্তাফা ২৩ আগস্ট, ২০২০, ৫:৪৫ পিএম says : 0
ব্যয় কমাতে হবে এর কোন বিকল্প নাই
Total Reply(0)
কোহিনুর সুলতানা ২৩ আগস্ট, ২০২০, ৫:৪৫ পিএম says : 0
এই সংকট মোকাবেলায় বিজ্ঞ কাউকে অর্থমন্ত্রী করা যেতে পারে
Total Reply(0)
সালমান ২৩ আগস্ট, ২০২০, ৫:৪৬ পিএম says : 0
অন্যান্য দেশের কথা না বলে নিজের দেশের কি অবস্থা সেটা বলুন
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন