করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অবশেষে টিকা আবিষ্কার করার দাবি করছে বিভিন্ন দেশ। তারা সফলও হয়েছেন। এমন দুটি দেশ হচ্ছে চীন এবং রাশিয়া। তবে এই টিকা প্রয়োগরে ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্নতা অবলম্ভব করা হচ্ছে। গবেষকদের দাবি এই টিকা শরিরে নয় নাকে প্রয়োগ করা হলে রোগ প্রতিরোধে বেশি কার্যকর হবে।
জানা গেছে, শরীরের অন্যান্য অংশের চেয়ে নাকের মাধ্যমে করোনার টিকা গ্রহণ করলে এটি বেশি কার্যকরী হয় বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। বিজ্ঞানবিষয়ক পত্রিকা ‘সেল’ এবং ‘নেচার কমিউনিকেশন’ প্রকাশিত দুটি গবেষণা এ ধরনের তথ্য দিয়েছে।
করোনার টিকা নাকে নিলে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা মেলে বলে গবেষণা দুটিতে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। একদল গবেষক দেখিয়েছেন, পেশিতে টিকা দেয়ার চেয়েও কার্যকর হচ্ছে নাকের মাধ্যমে টিকা দেয়া। এই টিকা দেয়ার পর দেখা যায়, নাসারন্ধ্রে বা শ্বাসতন্ত্রে ঢোকামাত্রই ভাইরাসের বিরদ্ধে কাজ শুরু হয়।
এ ধরনের গবেষণার জন্য ইঁদুর ও রিসাস বাঁদরের ওপর করা প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের এই তথ্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন অনেক বিশেষজ্ঞই। যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরির ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের দুই বিজ্ঞানী ডেভিড কুরিয়েল এবং মাইকেল ডায়মন্ডের দল কাজ করেছেন বায়োইঞ্জিনিয়ারিং পদ্ধতিতে তৈরি ইঁদুরের ওপর, যার মধ্যে রয়েছে মানুষের শরীরে থাকা রিসেপটর এসিই-২, যা করোনাকে ঢুকতে সাহায্য করে।
বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন, পেশিতে টিকা দেয়ার পর শরীরজুড়ে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হচ্ছে, কোষ সজাগ হয়ে উঠছে। সর্বোপরি ফুসফুস সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে। তবে শরীরে ঢোকা থেকে আটকানো যাচ্ছে না ভাইরাসকে। অর্থাৎ তৈরি হচ্ছে না স্টেরিলাইজিং ইমিউনিটি। যা পাওয়া যাচ্ছে ইন্ট্রান্যাজাল পদ্ধতিতে। তৈরি হচ্ছে মিউকোসাল ইমিউনোগ্লোবিউলিন এ অ্যান্টিবডি, যা কাজ করছে ফ্রন্টলাইন ইমিউনিটি হিসেবে। অর্থাৎ প্রবেশপথেই পাহারাদার বসে যাচ্ছে। করোনা ঢুকলেই কাত!
প্রথম ক্ষেত্রে ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধের পরও ফুসফুসে কিছু ভাইরাল আরএনএ অবশিষ্ট হিসেবে থেকে যাচ্ছিল। ইন্ট্রান্যাজালে সাফ হয়ে যাচ্ছে পুরোটাই, এমনই দাবি বিজ্ঞানীদের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন