শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

নতুন জঙ্গি সংগঠনের আরেকটি ভিডিও উদ্ধার ও চার জঙ্গি শনাক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০২৩, ৪:৫৮ পিএম

নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার আমির আনিছুর রহমান ওরফে মাহমুদ এবং দাওয়াতি শাখার প্রধান আব্দুল্লাহ মাইমুনের সদস্য ও অর্থ সংগ্রহ বিষয়ক উগ্রবাদী বক্তব্য সংবলিত ভিডিও কনটেন্ট উদ্ধার করেছে র‍্যাব। এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি গ্রেপ্তার নতুন জঙ্গি সংগঠনটির সামরিক শাখার প্রধান মাসুকুর রহমান ওরফে রনবীরের কাছ থেকে আরও একটি ভিডিও উদ্ধার করা হয়। এসব ভিডিও দেখে ঘরছাড়া তালিকাভুক্ত ৫৫ তরুণের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৩ জনকে শনাক্ত করেছে র‌্যাব। আগের ভিডিওতে মোট ২৯ জন জঙ্গিকে শনাক্ত করা হয়। আর ২৮ ফেব্রুয়ারি উদ্ধার হওয়া ৭ মিনিট দৈর্ঘ্যের নতুন ভিডিওতে আরও ২৩ জন জঙ্গিকে শনাক্ত করা হয়। এই ২৩ জনের মধ্যে ১৯ জন জঙ্গি আগের ভিডিওতেও ছিলেন, চারজন নতুন জঙ্গির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ৩৩ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকি ২১ জন পলাতক।


বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

 

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব মুখপাত্র জানায়, জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার আমির আনিছুর রহমান ওরফে মাহমুদ এবং দাওয়াতি শাখার প্রধান আব্দুল্লাহ মাইমুনের সদস্য ও অর্থ সংগ্রহ বিষয়ক উগ্রবাদী বক্তব্য সংবলিত ভিডিও কনটেন্ট উদ্ধারের পর এ তথ্য জানায় র‌্যাব।


গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পাহাড়ে প্রশিক্ষণরত আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এদের মধ্যে গ্রেপ্তার আল-আমিন ওরফে মিলদুকের কাছ থেকে নতুন এই ভিডিওটি উদ্ধার করা হয়।


খন্দকার মঈন বলেন, গত ২৩ জানুয়ারি গ্রেপ্তার নতুন জঙ্গি সংগঠনটির সামরিক শাখার প্রধান মাসুকুর রহমান ওরফে রনবীরের কাছ থেকে একটি ভিডিও উদ্ধার করা হয়। ওই ভিডিওতে মোট ২৯ জন জঙ্গিকে শনাক্ত করা হয়।


র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি উদ্ধার হওয়া ৭ মিনিট দৈর্ঘ্যের নতুন ভিডিওতে আরও ২৩ জন জঙ্গিকে শনাক্ত করা হয়। এই ২৩ জনের মধ্যে ১৯ জন জঙ্গি আগের ভিডিওতেও ছিলেন, আর চারজন নতুন জঙ্গির উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

তিনি আরও বলেন, নতুন ৪ জন হলেন শেখ আহমেদ মামুন ওরফে রমেশ, শামিম মিয়া ওরফে বাকলাই ওরফে রাজান, নিজাম উদ্দিন হিরন ও ডা. জহিরুল ইসলাম ওরফে আহমেদ। ভিডিওর তথ্য অনুযায়ী গত বছরের ৬ জুন ডা. জহিরুল মারা গেছেন।

দুটি ভিডিওতে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে থাকা মোট ৩৩ জনকে শনাক্ত করা গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এদের মধ্যে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান।


র‍্যাব কর্মকর্তা মঈন বলেন, মূলত অর্থ সংগ্রহ এবং সদস্য সংগ্রহের জন্য এই ভিডিওটি তৈরি করা হতে পারে।

অন্যদিকে দেশে বড় কোনো নাশকতার পর নিজেদের অস্তিত্ব দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে জানান দেয়া এই ভিডিওর উদ্দেশ্য হতে পারে।


কমান্ডার মঈন বলেন, সংগঠনটির আমির রাকিব বাবা দাওয়াতি শাখার প্রধান মাইমুনকে গ্রেপ্তার করতে পারলে ভিডিওটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। জানা গেছে, দুটি ভিডিওতেই ব্যাকগ্রাউন্ড ভয়েজ দিয়েছেন আল-আমিন ওরফে বাহাই, যিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে নিখোঁজ রিয়াসাত রায়হান ওরফে আবু বক্করের প্রাইভেট টিউটর। তার মাধ্যমেই আবু বক্কর ঘর ছেড়ে যান। ভিডিওটি এডিটিং করেছেন পাভেল নামে আরেক জঙ্গি।

এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মঈন বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, গত নভেম্বর থেকে তাদের মোবাইলে ভিডিওটি ছিল। ভিডিওর কাজটি চলমান ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই র‌্যাবের অভিযান শুরু হয়।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলোর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তারা নিজেদের গ্রুপের মধ্যেই এগুলো সরবরাহ করেছে। কোনো নাশকতার পরে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে এটি ব্যবহৃত হতে পারে। যদিও এ বিষয়ে সংগঠনটির আমিরই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছে গ্রেপ্তাররা। তবে এখন নতুনদের উদ্বুদ্ধ করে সদস্য সংগ্রহ ও অর্থ সংগ্রহের জন্য ভিডিওটি ব্যবহৃত হচ্ছিল
1 Attached Images

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন