ভারতের শতাব্দীপ্রাচীন কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি কে হবেন, এ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে আজ সোমবারই বৈঠকে বসছে কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভা। এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হবে পরবর্তী সভাপতি কে হচ্ছেন।
গত বছরই লোকসভা নির্বাচনের পর দলীয় ব্যর্থতার দায় নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান রাহুল গান্ধী। দলীয় নেতৃত্বের অনুরোধে শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নিতে সম্মন হন সোনিয়া গান্ধী। কিন্তু দলে সংস্কার ও পূর্ণ সময়ের নেতৃত্বের দাবি জানিয়ে সোনিয়া গান্ধীকে লেখা ২০ জনের বেশি নেতার চিঠির জেরে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী।
সোনিয়া সরে দাঁড়ালে ফের রাহুলকেই সভাপতি পদে নিয়ে আসার দাবি কংগ্রেসের মধ্যে জোরালো হয়েছে। তবে সূত্রের খবর, এখনই ফের কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নিতে নারাজ রাহুল। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কাও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি সভাপতি নয়, বরং জেনারেল সেক্রেটারির পদেই থাকতে আগ্রহী।
দলের এই বিতর্কিত পরিস্থিতির মধ্যে অনেক নেতাই সোনিয়া গান্ধীকেই সভাপতি হিসেবে চাইছেন। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং বলেন, 'বিজেপির মতো শক্তিশালী দল যেখানে দেশের সংবিধান এবং গণতান্ত্রিক নীতিতে ধ্বংস করে দিতে বসেছে, সেখানে এখন এই ধরনের ইস্যুতে সোচ্চার হওয়ার সময় নয়।' সোনিয়াকেই সভাপতি হিসেবে চাইছেন ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বলেন, 'যদি সোনিয়াজি সভাপতিত্ব ছাড়ার বিষয়ে মনস্থির করেই ফেলেন, তাহলে রাহুল গান্ধী এগিয়ে এসে কংগ্রেসের হাল ধরুন।' সূত্রের খবর সোনিয়া এখনই পদত্যাগ না করলেও কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি বেছে নেওয়ার জন্য দলীয় নেতৃত্বকে ডেটলাইন বেঁধে দিতে পারেন।
কংগ্রেসের নেতৃত্ব দেওয়ার মতো বিকল্প কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গান্ধী পরিবার ছাড়া কাউকে সভাপতি-র পদে বসাতে নারাজ সিংহভাগ কংগ্রেস নেতা। কিন্তু রাহুল রাজি না হওয়ায় সেই সোনিয়া গান্ধীর উপরেই ভরসা রাখতে হয়েছে দলকে। তাই সোনিয়া গান্ধীর সভানেত্রী পদে দায়িত্বের মেয়াদ বৃদ্ধির কথা ভাবে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন