মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আ’লীগের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ : সোনিয়া গান্ধী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

 

বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে কংগ্রেসের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ এলায়েন্সের (ইউপিএ) চেয়ারম্যান সোনিয়া গান্ধী। শনিবার নয়াদিল্লিতে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নয়াদিল্লি সফররত আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে কংগ্রেসের সাবেক এ সভাপতি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ও ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে দেওয়া বিশেষ সম্মাননা ‹বাংলাদেশ স্বাধীনতা সম্মাননা› (মরণোত্তর) পদক গ্রহণ করতে ২০১১ সালের ২৪ জুলাই বাংলাদেশে আসার বিষয়টি স্মরণ করেন সোনিয়া গান্ধী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সফরের সময় আওয়ামী লীগ সরকারের আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছিলেন তিনি। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বাংলাদেশে ফেরার পথে দিল্লি এয়ারপোর্টে যান। ওই সময় বঙ্গবন্ধুকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে যান ইন্দিরা গান্ধী। সে সময় বঙ্গবন্ধুকে এক পলক দেখার জন্য ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে সোনিয়া গান্ধীও ছিলেন বলে নিজেই বৈঠকে জানান। এ সময় রাহুল গান্ধী বলেন, তিনি বাংলাদেশের ব্যাপারে সব খোঁজ-খবরই রাখেন। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাতে অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে। বৈঠকে কংগ্রেসের অন্য নেতারা শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেন। বৈঠকের আগে রাহুল গান্ধীকে খাদি পাঞ্জাবি এবং ‹কারাগারের রোজনামচা› ও ‹বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী’ বই দুটি উপহার দেওয়া হয় বলেও জানান বিপ্লব বড়ুয়া।
এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতার নেশায় বিভোর মন্তব্য করে সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, মোদি সরকার দেশজুড়ে ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিচ্ছে। স্বৈরতন্ত্রের ছোবলে দেশ জেরবার। কংগ্রেস কোনো দিন কোনো চ্যালেঞ্জের সামনে মাথা নোয়াননি, নোয়াবেও না। একজোট হয়ে এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে।’
গত শনিবার ছিল দুই দিনব্যাপী কংগ্রেস প্লেনারি অধিবেশনের প্রথম দিনে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল বলেন, ‘কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে আসমান-জমিন ফারাক। বিজেপি বিশ্বাস করে বিদ্বেষে, কংগ্রেসের শক্তি মানুষের ভালোবাসা। দেশজুড়ে বিদ্বেষের বীজ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। মানুষ মানুষের সঙ্গে হানাহানি করছে। দেশ ক্লান্ত। মানুষ মুক্তি চাইছে। নতুন পথের সন্ধান করছে। কংগ্রেস সেই পথের সন্ধান দেবে।’
রাহুলের এ ভাষণের পর উপরোক্ত কথাগুলো বলেন সোনিয়া গান্ধী। কংগ্রেস যে নিছকই এক রাজনৈতিক দল নয়, একটা দৃষ্টিভঙ্গি, প্রতিনিধিদের সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে সোনিয়া বলেন, সনাতন ভারতীয় মূল্যবোধগুলো কংগ্রেসই রক্ষা করে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ¯েøাগান, ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ এবং দুর্নীতিরোধে ‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা’ প্রতিশ্রæতির উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব নাটকবাজি। মানুষের কাছে এই নাটক ধরা পড়ে গেছে। সোনিয়া আরও বলেন, ‘৪০ বছর আগে কর্নাটকের চিকমাগালুর থেকে ইন্দিরা গান্ধীর জয় কংগ্রেসকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছিল। আমার বিশ্বাস, এবারও কর্নাটকের ভোট কংগ্রেসকে সেভাবেই গড়ে তুলবে।’
বস্তত, এই ৮৪তম পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের মঞ্চ থেকেই লোকসভা নির্বাচনের সুরটা কংগ্রেস বেঁধে দিল। অধিবেশনে যে রাজনৈতিক প্রস্তাব শনিবার গৃহীত হয়, তাতে সমভাবাপন্ন দলগুলোর সঙ্গে নূন্যতম কর্মসূচির ভিত্তিতে জোট গড়ার আগ্রহ দেখানো হয়েছে। ##

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
তুষার ১৯ মার্চ, ২০১৮, ১:২৯ এএম says : 0
আ’লীগের সঙ্গে শুধু কংগ্রেসের নয় পুরো ভারতেরই ভালো সম্পর্ক
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন