গোয়ালন্দ উপজেলা সংবাদদাতা : রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার হরিণবাড়ীয়া বাজার সংলগ্ন পদ্মা নদীর খেয়া ঘাট থেকে পাংশার হাবাসপুর যাবার সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় ২৫ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৬ জনের মধ্যে ৫ জনের লাশ শনিবার ভোর ৫ টা থেকে সকাল ৯টার মধ্যে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। যাদের উদ্ধার লাশ করা হয়েছে তারা হলেন, পাংশা উপজেলার রামনগরের আকবর আলীর স্ত্রী হালিমা বেগম (৪০), তার মেয়ে ফরিদা বেগম (২৫), কালুখালী আলুকদিয়া চরের আলতাফ মিয়ার ছেলে রাজু (৫) ও রাহুল (১০) এবং চররামনগরের জাহাঙ্গির মিয়ার স্ত্রী বেগম (৪০)।
জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টার সময় কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের হরিণবাড়িয়া বাজার এলাকা থেকে ২০ জন যাত্রী নিয়ে পাংশা উপজেলার সাদার চরের উদ্দেশে রওয়ানা হয়। কয়েক গজ দূরে যাওয়ার পর ইঞ্জিনের ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায় ট্রলারটি। নদীতে ত্রীব্র স্রোতের কারণে পাশে থাকা ব্রীজের সাথে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় ট্রলারটি। ওই সময় একটি পিকনিকে যাওয়া একটি ট্রলার যাচ্ছিল ঘটনাস্থলের পাশ দিয়ে, ট্রলারে থাকা ১৫ থেকে ২০ যুবকের সাহায্যে এবং সাঁতরিয়ে তীরে উঠে আসে ১৪ যাত্রী। ডুবে যাওয়া ট্রলারের যাত্রীরা জানান, একে তা তীব্র স্রোত তার উপর ট্রলারের চালক অদক্ষ হওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও গত মাসে আরো দুইবার এই স্থানে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। সে সময় কেউ মারা না গেলেও আহত হয় ৮/১০ জন যাত্রী।
স্থানীয়রা আরো জানান, কালুখালী উপজেলাটি বন্যা কবলিত। রাস্তা-ঘাট এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না থাকায় তাদের চলাচল করতে হয় ট্রলারে। আর হরিণবাড়ীয়া বাজারের পাশের এই ব্রীজের উচ্চতা কম হওয়ায় নিচ দিয়ে কোন নৌকা বা ট্রলার যেতে খুব কষ্ট হয় তাদের। উদ্ধার কাজে অংশ নেয়া যুবকরা জানান, নদীতে প্রচুর স্রোতের কারণে লাশগুলো দেড় থেকে ২ কিলোমিটার দূরে ভেসে উঠছে। এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি ট্রলারটিকে।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক জিনাত আরা জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আর যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে এ ব্যাপারে সকলকে সচেতন থাকার পরামর্শ প্রদান করেন তিনি ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন