নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা : নীলফামারীর সৈয়দপুরে আজাদ (২৬) নামে এক যুবক পাঁচ বছর আগে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও সৈয়দপুর থানায় পৃথক পৃথক জিডি করা হয়েছে। পুলিশ ওই যুবকের নিখোঁজের ঘটনা সন্দেহের চোখে দেখছে।
সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পর পুলিশ ও র্যাব নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ শুরু করলে ওই নিখোঁজ যুবকের বিষয়টি পুলিশের নজরে আসে। পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে ওই যুবককের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখছে। এ ঘটনায় যুবকের পরিবারও অজানা আশঙ্কায় ভুগছেন।
ঢাকার গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর নিখোঁজ ওই যুবক সম্পর্কে পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খোঁজখবর নেয়া শুরু করেছে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। নিখোঁজ যুবকের বাড়ি সৈয়দপুর শহরের হাতিখানা মহল্লায়।
নিখোঁজ যুবকের মা-মুন্নি বেগম জানান, সংসারে অভাব নিত্যদিন তাড়া করতো আজাদকে। পরিবারের সদস্যদের দু’বেলা দুমুঠো খাবার জোগানো কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছিল না। পরে বাধ্য হয়ে ২০১১ সালের ২১ জুলাই কাজের উদ্দেশে চলে যায় রাজধানী ঢাকায়। কেরানীগঞ্জের বাবুল মিয়ার হাসান ফ্যাশন নামের ক্ষুদ্র গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ নেয়। সেখানে শার্ট সেলাইয়ের কাজ করতো সে। মাস শেষে নিজ খরচ রেখে পারিশ্রমিকের অবশিষ্ট টাকা মায়ের কাছে পাঠাতো।
২০১১ সালের ২৩ আগস্ট আজাদ মাকে মোবাইল ফোনে জানায়, আমি আজ দুপুর আড়াইটায় ঢাকা থেকে বাসযোগে সৈয়দপুরে আসবো। এই ছিল আজাদের সঙ্গে মা মুন্নি বেগমের শেষ কথা। কিন্তু ছেলে আর ঘরে ফেরেনি। ঘটনার ১০ দিন পর ওই বছরের ০৪ সেপ্টেম্বর কেরানীগঞ্জ থানায় মুন্নি বেগম সাধারণ ডায়েরি করেন, যার নম্বর-১৭২। চলতে থাকে ছেলের খোঁজ। কোনোভাবেই কোথাও খোঁজ মিলে না ছেলের।
ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর আবার সৈয়দপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়, যার নং-৪৮৯। এরপরও সন্ধান নেই নিখোঁজ ছেলের।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জিডি দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জঙ্গি হামলার পর সন্দেহভাজন হিসেবে নিখোঁজ যুবকের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন