রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শনিবার দিনগত রাতে এক যুবক নিহত হয়েছে। তার পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার জিহাদী বই, পোশাক, ককটেল, বিদেশি পিস্তল ও ধারালো অস্ত্র দেখে ধারণা করা হচ্ছে সে নিষিদ্ধ জামায়েতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য। রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে রাজশাহী পুলিশ সুপার বলেন, ‘বন্দুকযুদ্ধ’ চলাকালে জেলা পুলিশের ছয় সদস্য আহত হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ জানতে পারে বাগমারা উপজেলার ঝিকড়া জোয়ানবাগ (উত্তরপাড়া) গ্রামের সুমনের আম বাগানে কিছু দুষ্কৃতিকারী জড়ো হয়েছে। তারা নাশকতার পরিকল্পনা করছে। এরপর শনিবার দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ ও বাগমারা থানা পুলিশ যৌথভাবে ওই বাগানে অভিযান চালায়। এ সময় দুষ্কৃতিকারীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ককটেল নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ করতে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে সন্ত্রাসীরা পিছু হঠতে বাধ্য হয়। পরে বাগানে তল্লাশি চালিয়ে আনুমানিক ৩৪ বছর বয়সের অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। রামেক হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে অপর একটি দল ওই বাগানে তল্লাশি চালায়। সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, একটি গুলির খোসা, দুই রাউন্ড গুলি, ১৪ ইঞ্চি দু’টি ছোরা ও একটি চাপাতি, বিভিন্ন ধরনের ১০টি জিহাদী বই ও ব্যবহৃত পোশাক, ১৩টি ককটেল, চারটি হাঁসুয়া এবং একটি রামদা উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া বিভিন্ন আলামত দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নিহত ওই ব্যক্তি জেএমবি সদস্য। তবে বর্তমানে তারা তার নাম পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছেন। পুলিশের কাছে থাকা সন্ত্রাসী, দুষ্কৃতিকারী ও জঙ্গিদের তালিকায় নিহতের পরিচয় খোঁজা হচ্ছে। আর আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জনকে আসামি করে বাগমারা থানায় মামলা করা হবে বলেও জানান রাজশাহীর পুলিশ সুপার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন