রাশিয়ার আবিষ্কার করা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক-ভি’-এর প্রাথমিক পর্যায়ের ট্রায়ালে অংশ নেওয়া সবার শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিশ্বখ্যাত চিকিৎসাবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে।
রাশিয়ার তৈরি ভ্যাকসিন নিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক প্রকাশনা এটি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে, ভ্যাকসিনের এ সাফল্যকে সমালোচকদের বিরুদ্ধে যথাযথ জবাব হিসেবে দেখছে মস্কো।
করোনাভাইরাসের নিরাপদ টিকা উদ্ভাবনে বিশ্বজুড়ে চলমান প্রতিযোগিতার মধ্যে ১১ আগস্ট বিশ্বের প্রথম ভ্যাকসিন ‘স্পুিনক-ভি’ অনুমোদনের ঘোষণা দেয় রাশিয়া। সোভিয়েত মহাকাশযানের নামে ভ্যাকসিনটির নামকরণ হয় ‘স্পুতনিক-ভি’।
ভ্যাকসিনটির অনুমোদনের ঘোষণার সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, এটি তাঁর মেয়ের শরীরেও প্রয়োগ করা হয়েছে।
তবে এ ঘোষণার পরপরই ভ্যাকসিনটি কতটা নিরাপদ, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে শুরু করে বিভিন্ন দেশ। এ ব্যাপারে তড়িঘড়ি করা হয়েছে এবং পর্যাপ্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি বলেও দাবি করা হয়। জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন ও যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
ল্যানসেটের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ভ্যাকসিনটি নিয়ে ৪২ দিন করে দুটি ট্রায়াল চালানো হয়েছে।
প্রতিবারই অংশ নিয়েছেন ৩৮ জন সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক স্বেচ্ছাসেবী। পরীক্ষায় তাঁদের মধ্যে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি, বরং তাঁদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন