আলোচিত সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় শাহজাহান মিয়া নামে এক আসামিকে দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। অপর দুই আসামি মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম ও আনোয়ার হোসেনকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈন উদ্দিন আসামিদের পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দীনের আদালত একজনকে রিমান্ড এবং দুইজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
আসামি মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর এলাকার আবদুন নবীর পুত্র, আনোয়ার হোসেন ফটিকছড়ি উপজেলার পাইড্রালিকুল এলাকার সামছুল আলমের পুত্র ও শাহজাহান মিয়া রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রানীরহাট এলাকার কবির আহমদের পুত্র।
২০১৬ সালের ৫ জুন নগরীর ওআর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে গুলি ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আবু নসুর গুন্নু, শাহ জামান ওরফে রবিন, সাইদুল আলম শিকদার ওরফে সাক্কু ও শাহজাহান, মো. আনোয়ার ও মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম নামে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। দুই আসামি পুলিশের কথিত ক্রসফায়ারে মারা যায়। এ ঘটনায় অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে আটক হন এহেতেশামুল হক ভোলা ও তার সহযোগী মো. মনির। তাদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত পয়েন্ট ৩২ বোরের একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার আনোয়ার ও মোতালেব মিতু হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তাদের স্বীকারোক্তিতে মিতু হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম আসে বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে পরিচিত মো. মূছার। মূছাকে ধরতে নগর পুলিশের পক্ষ থেকে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। তবে তার খোঁজ এখনও মেলেনি। মূছার স্ত্রীর অভিযোগ, মিতু হত্যার পর তাকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে। আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যার চার বছর পার হলেও এ চার্জশিট দিতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই মামলার রহস্য উদঘাটনের কোনো কিনারাও করতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয় পিবিআইকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন