গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনে জাতীয় সংসদে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল-২০২০ নামে একটি বিল পাস হয়েছে। গাজীপুর শহর ও তৎসলগ্ন এলাকায় পরিকল্পিত নগরায়ণের উদ্দেশ্যে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করার জন্য এই বিল আনা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। বিলটির ওপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাব দেন বিরোধী দলীয় কয়েকজন সংসদ সদস্য। তবে তাদের সেই প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পরে স্পিকার বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিলটি সংসদে উত্থাপন করা হয়।
পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ হবে একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এর প্রধান কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত হবে। কর্তৃপক্ষ পরিচালনার জন্য একজন চেয়ারম্যান, চারজন সার্বক্ষণিক সদস্যসহ ১৫ সদস্যের একটি কমিটি থাকবে। কর্তৃপক্ষের সচিব কমিটির সচিব হবেন। সদস্যরা তিন বছরের জন্য মনোনীত হবেন। আইনের উদ্দেশ্য পূরণে ভূমির যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করবে কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ অপরিকল্পিত উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ ও আধুনিক পর্যটন ও নগর উন্নয়ন কার্যাবলী গ্রহণ করবে। কৃষিভূমি, বনভূমি, নিম্নভূমি ও জলাভূমি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিবে।
বিলে বলা হয়েছে, গাজীপুর শহর ও তৎসলগ্ন এলাকায় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কোন ইমারত নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ, পুকুর বা কৃত্রিম জলাধার খনন, পুনঃখনন বা উঁচু ভূমি কাটা যাবে না। যদি কোনো ব্যক্তি মহাপরিকল্পনায় চিহ্নিত বা উল্লেখিত উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ভূমি ব্যবহার করেন, তাহলে সেটা অপরাধ বলে গণ্য হবে। এই অপরাধের জন্য অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত হবেন।
ইমারত নির্মাণ, জলধারা খনন, চালা অথবা উঁচু ভূমি ইত্যাদি বিষয়ে বিধি নিষেধ সম্পর্কে ৪১ ধারার (১) উপধারায় বলা হয়েছে, অন্য কোনো যাই থাকুক না কেন এই আইন কার্যকর হবার পর কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকার মধ্যে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কোনো ইমারত নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ, পুকুর বা কৃত্রিম জলধারা খনন বা পুনঃখনন কিংবা চালা বা উঁচু ভূমি কাটা যাবে না। এই বিধান অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিতে পারবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন