শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বিশ্বজুড়ে ভ্যাকসিন পাঠাতে লাগবে ৮ হাজার উড়োজাহাজ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:৪৪ পিএম

করোনা সংক্রমণের দিন যতই বাড়ছে ভাইরাসটির প্রতিরোধে টিকা পাওয়ার সম্ভাবনাও ততো এগিয়ে আসছে। এর মধ্যে রাশিয়ার বানানো ভ্যাকসিনের উৎপাদন পুরোদমে শুরু হয়ে গেছে, এর মধ্যে আরও কয়েকটি ভ্যাকসিন এখন উৎপাদনের মুখে। শুধু ট্রায়ালের পুরো প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার অপেক্ষা। নভেম্বরেই টিকা সরবরাহের জন্য মার্কিন অঙ্গরাজ্যগুলোকে প্রস্তুতি নিতে বলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। সারাবিশ্বে প্রায় ১৪০টি ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পর্যায়ে কাজ চলছে এবং প্রায় দুই ডজন ভ্যাকসিনের এখন মানুষের উপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে।
এর মধ্যে পুরো বিশ্বের কাছে করোনা প্রতিরোধী ভ্যাকসিন কীভাবে পৌঁছানো যায় এ নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা।
গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএআইএ) বুধবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। তারা বলছে, করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য বোয়িং ৭৪৭ এর মতো ৮ হাজার জেট বিমান প্রয়োজন হবে। কোভিড রোগীর জন্য এক ডোজ ভ্যাকসিন হিসাব করা হয়েছে এ পরিবহনে।
আইএটিএ প্রধান নির্বাহী আলেকজান্দ্রি দে জুনিয়াক বলেন, ‘নিরাপদে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহ হবে কার্গো বিমান পরিবহন ইন্ডাস্ট্রির জন্য এ শতাব্দীর বড় মিশন। তবে এর জন্য পূর্ব পরিকল্পনা প্রয়োজন এবং এটি নিয়ে ভাবার এখনই সময়।’
এখনও যদিও করোনাভাইরাসের কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি, তারপরও আইএটিএ ইতিমধ্যে উড়োজাহাজ, বিমানবন্দর, বিশ্ব স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং ওষুধ সংস্থাগুলোর সাথে একটি বৈশ্বিক উড়োজাহাজ পরিকল্পনার কাজ শুরু করেছে।
আইএটিএ’র প্রধান নির্বাহী আলেকজান্দ্রি দে জুনিয়াক বলেন, যাত্রী বিমানগুলোতে মারাত্মক মন্দা চলার এই সময়ে বিমান সংস্থাগুলো কার্গো সরবরাহের দিকে দৃষ্টিপাত করছে, সেখানে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা আরও জটিল হবে। আবার সবগুলো উড়োজাহাজ তো ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য উপযুক্ত না। ওষুধ পরিবহনের জন্য সাধারণত ২ থেকে ৮ সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার প্রয়োজন পড়ে। কিছু ভ্যাকসিনের জন্য হিমশীতল তাপমাত্রার প্রয়োজন হতে পারে ফলে আরও অনেক উড়োজাহাজ বাদ পড়ে যাবে।
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার কিছু অঞ্চলসহ বিশ্বের কয়েকটি এলাকায় ফ্লাইটগুলো আরও গুরুত্বপূর্ণ হবে, কারণ তাদের ভ্যাকসিন উৎপাদনের সক্ষমতার অভাব রয়েছে।
আবার কার্গো ক্ষমতা, অঞ্চলের আকার এবং সীমান্ত অতিক্রমের জটিলতার কারণে এই মুহূর্তে আফ্রিকাজুড়ে ভ্যাকসিন বিতরণ করা ‘অসম্ভব’ হবে বলেই মনে করছে আইএটিএ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন