শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

সোনাতলা পৌর নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর জামানত বাতিলের নেপথ্যে

সিনিয়র নেতারা বিব্রত

প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে : বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত বগুড়ার সোনাতলা পৌরসভা নির্বাচনে শোচনীয়ভাবে হেরে গেছেন বিএনপি প্রার্থী এটিএম গোলাম রাকিব। তিনি শুধু হারেনইনি জামানত পর্যন্ত হারিয়েছেন।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে দীর্ঘ ১৫ বছর পর অনুষ্ঠিত এই পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান আহসানুল তৈয়্যব জাকিরের চাচাত ভাই জাহাঙ্গীর আলম নান্নু। তিনি স¦তন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে মেয়রপদে দাঁড়িয়ে নারিকেল গাছ মার্কা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ৪শ’ ৫৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী শহীদুল হক খান গোলাম রব্বানী নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ৩শ’ ৬৯ ভোট । অর্থাৎ মাত্র ৮৫ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নান্নু। আর বিএনপি প্রার্থী এটিএম গোলাম রাকিব ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন মাত্র ৫শ’৩১টি ভোট। ফলে জামানত হারিয়েছেন তিনি। কিন্তু কেন এই বিপর্যয়, কী কারণে ধানের শীষ প্রতীকের এই দৈন্যদশা, তাও আবার বিএনপির ঘাঁটিতে, এটা কী তবে মাঠ পর্য়ায়ে বিএনপির জনপ্রিয়তার বাস্তব ইন্ডিকেটর? নাকি অন্যকোন রাজনীতি লুকিয়ে আছে, যা অত্যন্ত নোংরা, ভয়াবহ ও আত্মঘাতী? এই নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মিদের আলোচনা বা আত্ম-সমালোচনা শুধু সোনাতলা পৌর এলাকাতেই সীমাবদ্ধ নেই- বগুড়া জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের কাছে বিষয়টি বিব্রতকর মনে হচ্ছে । খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বতন্ত্রপ্রার্থী নান্নু এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কাছে মনোনয়ন চেয়েছিলেন, না পেয়ে স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন ।
এলাকায় তিনি বেশ জনপ্রিয়। তাই বিএনপি কর্মিরা চেয়েছিলো, নান্নুর সমকক্ষ কাউকে প্রার্থী করা হোক । কিন্তু প্রার্থী মনোনয়নের সাথে জড়িতদের কেউ কেউ চেয়েছিলেন, নির্বাচনে নান্নুই জিতে যাক। এমন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেয়া হোক যার পক্ষে কর্মিরা সক্রিয় থাকবে না, প্রার্থী নির্বাচনে অর্থ খরচ করবে না। বাস্তবে নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে প্রচারণার মাঠেই হারিয়ে যান বিএনপি প্রার্থী এটিএম রাকিব। এর পুরো ফায়দা নেন জাহাঙ্গীর আলম নান্নু। সোনাতলা পৌরসভা নির্বাচনে ভোটের দিনে ভোট চলাকালে কোন কেন্দ্রেই বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে কোন কর্মি, পোলিং এজেন্টকে দেখতে না পেয়ে রীতিমত বিস্মিত হন। তখনই তারা বুঝতে পারেন বিএনপি প্রার্থী বড় ধরনের আভ্যন্তরীণ রাজনীতির নির্মম শিকারের বস্তুতে পরিণত হয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন