করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় আরও দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা হলেন- নজরুল ইসলাম ও হাসান। তারা জব্দ তালিকার সাক্ষী। এ নিয়ে আদালতে তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষ হলো।
গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। এরপর তাদের জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৭ সেপ্টম্বর দিন ধার্য করেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশিরভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এ অভিযোগে গত ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবরিনা ও আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা। চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে প্রতারণার মূলহোতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন