স্টাফ রিপোর্টার : মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতি করে চাকরি নেয়ার অভিযোগে ১৯ পুলিশ সদস্যসহ বিভিন্ন দুর্নীতির মামলায় ২৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার কুমিল্লা, টাঙ্গাইল, পাবনা ও ময়মনসিংহ থেকে ওই আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত পুলিশ সদস্যরা হলেন- মো. আইয়ুব আলী, মো. কামরুল ইসলাম, আব্দুল কুদ্দুছ শেখ, মো. আলী আব্বাছ, মোহাম্মদ আলী, মো. সবুজ মিয়া, মো. আবু হানিফ, মো. সাইফুল ইসলাম-১, মো. ফেরদৌস, মো. সাইফুল ইসলাম-২, মো. হায়দার আলী, মো. বুদ্ধি মিয়া, সুমন কুমার সরকার, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. আব্দুল আউয়াল, মো. আমিরুল ইসলাম, মো. আল আমিন, মো. সোহেল রানা ও মো. সুমন আহম্মেদ। আসামিরা সবাই সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।
আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৬ নভেম্বর সিরাজগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদ দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশ বিভাগে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টবল পদে ভর্তি ও চাকরিতে যোগ দেন। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ আসামিদের গ্রেপ্তার করেন।
এ ছাড়া পাবনা এলাকা থেকে ৩২টি চেক জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক থেকে ৮৫ লাখ ৩ হাজার ৮৮০ টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের মামলায় প্রাক্তন সোশিওলোজিস্ট, (আরইআরএমপি প্রজেক্ট) মোছাম্মৎ তাজুন্নাহারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অন্যদিকে পেনশনারদের নামে জমাকৃত ১৬ কোটি ৬ লাখ ২ হাজার ৯৬২ টাকা আত্মসাতের মামলায় কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা হিসাবরক্ষক মোখলেসুর রহমান ও কুমিলা সদর দক্ষিণ উপজেলা হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা বিলাল হোসেন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুর্নীতির মামলায় টাঙ্গাইলের বাসিন্দা আব্দুল কাদের মিয়া ও শুকুর মামুদ, ময়মনসিংহ থেকে উপজেলা সমাজসেবা অফিসের সমাজকর্মী আনসার উদ্দিনকেও গ্রেপ্তার করেছে দুদক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন