কর্পোরেট রিপোর্টার : শিল্পের কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি বাড়ছে। গত অর্থবছরে (২০১৫-১৬) এ জাতীয় পণ্যের ঋণপত্র (এলসি) খোলা বেড়েছে। কাঁচামাল ও মূলধন পণ্যের ঋণপত্রের নিষ্পত্তিও (এলসি সেটেলমেন্ট) বেড়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আমদানি ঋণপত্র (এলসি) ব্যয়ের পরিমাণ আগের অর্থবছরের তুলনায় শূন্য দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি। এ সময় বিভিন্ন পণ্য আমদানির জন্য দেশের ব্যাংকগুলোতে চার হাজার ৩৩৪ কোটি ডলার মূল্যের এলসি খোলা হয়েছে। এর আগের অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল চার হাজার ৩০৭ কোটি ডলার। ক্লিংকার ও লাইম স্টোন আমদানিতে এলসি খোলা হয়েছে ৫৯ কোটি ডলারের, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৭ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের চেয়ে ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ বেশি এলসি খোলা হয়েছে ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে। ৬৮০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস এক্সেসরিজ আমদানির জন্য, যা আগের বছরের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি। সুতা আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে ১৮২ কোটি ডলারের। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, গত অর্থবছরে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে ব্যাংকগুলোতে ৪৮০ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ বেশি। আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল ও খাদ্যপণ্যের দাম কমায় সামগ্রিকভাবে আমদানি ব্যয় কম হচ্ছে। তবে আমদানির পরিমাণ কমেনি বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেড়েছে। বিশেষ করে শিল্পের কাঁচামাল, সুতা, টেক্সটাইল ফেব্রিকস, এক্সেসরিজ, ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল, মূলধনী যন্ত্রপাতি এবং ক্লিংকার ও লাইম স্টোন আমদানির জন্য এলসি খোলা বেড়েছে। এ ছাড়া পেঁয়াজ, তাজা ও শুকনো ফল, ডাল এবং ভোজ্যতেলের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন