কর্পোরেট রিপোর্টার : বাণিজ্য খাতে বেশিরভাগ প্রণোদনা অপরিবর্তিত রয়েছে। নতুন করে কাগজ, আগর, আতর, গবাদিপশুর নাড়িভুঁড়ি, শিং ও রগসহ কয়েকটি অপ্রচলিত পণ্যে প্রণোদনা দেয়া হবে। চামড়াজাত পণ্য, বৈচিত্র্যময় পাট পণ্য ও জাহাজ রফতানিতে নগদ সহায়তা বাড়বে। হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সাভারে স্থানান্তর না করলে চামড়াজাত পণ্যে কোনো নগদ সহায়তা দেয়া হবে না। অন্যদিকে আলু রফতানিতে নগদ সহায়তা কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সোমবার চলতি অর্থবছরে রফতানি খাতে প্রণোদনা বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বৈঠকের পর বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার অপ্রচলিত পণ্যের রফতানি বাড়াতে উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে কিছু খাতে নতুন করে প্রণোদনা দেয়া হবে। কিছু খাতে প্রণোদনা বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে কৃষিপণ্যে সবচেয়ে বেশি ২০ শতাংশ প্রণোদনা দেয়া হবে। এ ছাড়া জাহাজ রফতানিতে প্রণোদনা বাড়িয়ে ৫ থেকে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। রফতানি প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা বাড়াতে এ প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। বৈঠকে হান্টার ও বিয়ার রফতানিতে নগদ সহায়তার প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে। হাড়ের গুঁড়া রফতানিতে প্রণোদনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আলু রফতানিতে প্রণোদনা ২০ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এ ছাড়া বেশিরভাগ পণ্যের প্রণোদনা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে রফতানি সহায়তা বাবদ সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। বহুমুখী পাটজাত পণ্য রফতানিতে ১০ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। চামড়া খাতে সাড়ে ১২ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। নতুন করে দেশে উৎপাদিত কাগজ রফতানিতে ১০ শতাংশ, আগর ও আতর রফতানিতে ২০ শতাংশ এবং গবাদিপশুর নাড়িভুঁড়ি, শিং ও রগ রফতানিতে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা দেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন