শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রাস্তা প্রশস্ত করলে অনেক স্থাপনা ভাঙ্গা পড়তে পারে

উত্তরখানে ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে মেয়র আতিক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, নতুন ওয়ার্ডে রাস্তা প্রশস্ত করতে গেলে অনেক স্থাপনা ভাঙ্গা পড়তে পারে। ডিএনসিসির ম্যাপিং অনুযায়ী রাস্তার দুই পাশে যার স্থাপনাই থাকুক না কেন, সেগুলো ভেঙ্গে আমাদের রাস্তা করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা খাল উন্নয়নের যে ডিজাইন করেছি, সেখানে খালের দুই পাশে হাটার রাস্তা থাকবে, সেখানে গাছ লাগানো হবে, সাইকেল লেন থাকবে। এটি ব্যক্তিগত কারো জন্য নয়, বরং জনগণের জন্য। খাল দখলদারদের হুশিয়ার করে তিনি বলেন, আপনাদের হাত যতই লম্বা হোক না কেন, জনগণের হাতের চেয়ে লম্বা নয়।

গতকাল উত্তরখানের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন। মেয়র ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরখান কলেজিয়েট স্কুল মাঠে, দুপুর সাড়ে ১২টায় ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিসের সামনে এবং দুপুর আড়াইটায় ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাওথার মাঠে তিনটি পৃথক জনসভায় অংশ গ্রহণ করেন।

জনসভায় মেয়র বলেন, নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকার প্রকল্প পাশ করে দিয়েছেন। এখানকার রাস্তাগুলো চওড়া হবে, ১৩টি খাল আছে, এগুলোর অনেক জায়গায় দখল হয়ে আছে। এই ১৩টি খাল পুনরুদ্ধার করে উন্নয়ন করা হলে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। তিনি আরো বলেন, যাদের ক্ষমতা আছে, যারা শুধু নিজের চিন্তা করে, জনগণের কী হবে তা চিন্তা করেনা। এই খালগুলো জনগণকে নিয়ে আমরা উদ্ধার করবো।

নতুন ওয়ার্ডগুলোর হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় সম্পর্কে মেয়র বলেন, এই এলাকার জন্য হোল্ডিং ট্যাক্সের রেট চার্ট করেছি, তবে কোন ঘর-বাড়ি থেকে এখনই ট্যাক্স নেব না; রাস্তা, ফুটপাত ইত্যাদি নির্মাণ করার পরে ট্যাক্স নিব। কিন্তু বাণিজ্যিক প্লট, কারখানা ইত্যাদি থেকে অবিলম্বে ট্যাক্স নেওয়া হবে। ব্যবসা করবেন, ট্যাক্স দিবেন না এটা হতে পারে না
মেয়র আরো বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য আগে ড্রেন তৈরি করে তারপরে রাস্তা নির্মাণ করবো। ঝুলন্ত তারের জন্য প্রথম বারের মতো ডাক্টিং সিস্টেমের মাধ্যমে মাটির নিচ দিয়ে চলে যাবে। উত্তরখানের এই তিনটি ওয়ার্ডে সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

মেয়রের পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন ও প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জয়নুল আবেদীন, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাইদুল ইসলাম মোল্লা, ৪৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
জাহিদ খান ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:৫৬ এএম says : 0
দরকার হলে তা করতেহবে তবুও রাস্তা শেষ।
Total Reply(0)
গাজী ওসমান ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:৫৮ এএম says : 0
রাস্তা বাড়ালে অনেক স্থঅপনা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
Total Reply(0)
নাঈম বি এস এল ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:৫৯ এএম says : 0
প্রয়োজনে রাস্তার জমি বাড়াতে হবে। কবুও স্থাপনা ভাঙা যাবে না।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন