দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর খিলক্ষেতে নাজিম হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এরা হলেন, সবুজ মিয়া (৪৮) ও হারেছা (৪৪)। গত বছরের এপ্রিল মাসে নাজিমকে হাত-পা বেঁধে নদীর পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের পিতা জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামি করে খিলক্ষেত থানায় হত্যাসহ লাশ গুমের মামলা দায়ের করেন। স্পর্শকাতর এ মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। সিআইডি প্রায় এক বছর তদন্ত শেষে এজাহারভূক্ত একজনকে বাদ দিয়ে বাকি ৬ জনসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। এই ১৪ জনের মধ্যে তিনজনকে থানা পুলিশ ও একজনকে সিআইডি গ্রেফতার করে এবং ৫ জন কোর্টে আত্মসমর্পণ করে। বাকি ৫ আসামি পলাতক ছিল। আদালত এজাহারভূক্ত একজনকে বাদ দেয়ার কারণে অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। পিবিআই ঢাকা মেট্রো পুলিশ পরিদর্শক মো. আক্রাম হোসেন বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছেন।
পিবিআই ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত এসপি মিনা মাহমুদা বলেন, নাজিম ও আসামি রাজন খিলক্ষেত থানাধীন বিশ্বরোড সংলগ্ন মস্তুল গ্রামে আসামি নাসির উদ্দিনের বাড়িতে কবুতর চুরি করতে গেলে আসামি ইউনুছ বুঝতে পেয়ে চোর চোর বলে চিৎকার শুরু করে এবং নাজিম ও আসামি রাজন এর পিছু ধাওয়া করে। এক সময় নাজিমকে ধরে ফেলে ও রাজন পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়। নাজিমকে ধরার পর সবুজ মিয়া ও হারেছাসহ আসামি নাসির, ইসমাইল, আকরাম, খোকন, সাইফুলসহ আরো ১৫/২০ জন মিলে নাজিমকে ইব্রাহীমের দোকানের সামনে অমানবিক ভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে কোমড়ে ইট ঝুলিয়ে মস্তুল বালু নদীতে ডুবিয়ে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করে। নিষ্টুরভাবে হত্যার এ দৃশ্য গোপন ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন টিভির সংবাদেও দেখানো হয়। পিবিআই কর্মকর্তা মিনা মাহমুদা বলেন, পিবিআই ঢাকা মেট্রো মামলাটি তদন্তকালে গোপন সংবাদ পেয়ে গতকাল ভোর রাতে অভিযান পরিচালনা করে পলাতক আসামি সবুজ মিয়াকে মস্তুল গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ঘর এবং হারিছাকে একটি মুরগির ফার্ম থেকে গ্রেফতার করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন