চীনের অর্থনীতি স্থিতিশীল এবং বহিরাগত ঝুঁকি সত্তে¡ও বেইজিংয়ের হাতে নিষ্পত্তি করার পর্যাপ্ত নীতিমালা রয়েছে। শনিবার প্রকাশিত এক মন্তব্যে একথা বলেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিটি ভাইরাস সৃষ্ট মন্দা থেকে ধীরস্থিরভাবে পুনরুদ্ধার লাভ করেছে, তবে বিশ্লেষকরা বলছেন যে, চীনকে একটি উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত করার জন্য পরবর্তী কয়েক বছর স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে নীতিনির্ধারকদের একটি কঠিন কাজের মুখোমুখি হতে হবে।
শিকে উদ্ধৃত করে চীনের বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়েছে, ‘পর্যাপ্ত সম্ভাবনা, দুর্দান্ত স্থিতিস্থাপকতা, শক্তিশালী প্রাণশক্তি, কৌশলচক্রের জন্য বড় জায়গা এবং অনেক নীতিগত সরঞ্জামের সাথে চীনের অর্থনীতির মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলি পরিবর্তিত হয়নি’। শি বলেছেন, চীনে দৃঢ় উৎপাদন ক্ষমতা, খুব বড় দেশীয় বাজার এবং বিপুল বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। শি একটি ‘দ্বৈত সঞ্চালন’ কৌশল পুনরুদ্ধার করেছেন যা মার্কিন শত্রæতা এবং বিশ্বব্যাপী মহামারি বহিরাগত ঝুঁকি বাড়ায় অর্থনীতিকে বৃহত্তর স্বাবলম্বতার দিকে পরিচালিত করতে সহায়তা করবে। চীন এখনও তার উন্নয়নে ‘কৌশলগত সুযোগগুলি’ উপভোগ করেছে, যদিও করোনারভাইরাস মহামারি বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে যেহেতু বিশ্বায়নের গতি কমছে এবং একতরফাবাদ এবং সুরক্ষাবাদ বাড়ছে, দেশটির ১৪তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার (২০২২-২০২২) এক বৈঠকে শি’র বরাত দিয়ে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের আরও একটি অস্থিতিশীল এবং অনিশ্চিত বিশ্বে আমাদের উন্নয়নের চেষ্টা করতে হবে’ । শি ক্রমবর্ধমান অসুবিধা ও চ্যালেঞ্জের মধ্যে শান্তির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গং এবং ড্রাম পিটিয়ে চীন জাতির দুর্দান্ত পুনরুজ্জীবন কখনই সহজেই অর্জন করা যায় না’। সূত্র : রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন