নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, কাজ, খাদ্য, চিকিৎসা নিশ্চিয়তা ও রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাম ঐক্যফ্রন্ট এর উদ্যাগে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার ভারতের কাছে নতজানু। এ জন্য তারা ভারত এবং দেশের সিন্ডিকেটের হাতে পেঁয়াজ, চাল, পাট, চামড়াসব সব পণ্যের বাজার তুলে দেয়া হয়েছে।
সভায় পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো, সকলে জন্য কাজ, খাদ্য ও চিকিৎসার নিশ্চিত ব্যবস্থা করা, পাটকল পিপিপির মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে অবিলম্বে আধুনিকায় করে চালু করার দাবি জানানো হয়।
বাম ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয়ক ও গণমুক্তি ইউনিয়নের আহ্বায়ক কমরেড নাসিরউদ্দিন আহমেদ নাসুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাসদ এর কেন্দ্রীয় নেতা মহিনউদ্দিন চৌধুরী লিটন, গণমুক্তি ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম, বাসদ-এর ঢাকা মহানগর অন্যতম নেতা আনোয়ার হোসেন মিলন প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন বাসদ এর ঢাকা মহানগন নেতা জামাল শিকদার।
সভায় বক্তারা বলেন, করোনাকালীন সংকটে সরকারের বৈষম্যমূলক নীতি, সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি জনজীবনকে দুর্দশার দিকেই নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত দেশে-বিদেশে মানুষ কাজ হারাচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে না নতুন কাজের সুযোগ। অস্বাভাবিকভাবে বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।
তারা বলেন, চিকিৎসা ক্ষেত্রে চলছে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। প্রতিনিয়িত বাড়ছে কৃষি উপকরণের দাম। কৃষক কৃষি ফসলে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। পূর্বের কোনো ঘোষণা ছাড়াই হটাত করে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধে বাজার অস্থিতিশীল করে তুললেও ঠিকই ভারতে সময় মতো ইলিশের চালান পৌঁছে গেছে। সরকার বাজারকে ভারত ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিয়েছে।
এই মহাসঙ্কটকালীন সময়ে সরকারের অদক্ষতা ও দুর্নীতি দায়ভার শ্রমিকদের ওপর দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল। উপার্জনহারা মানুষের ভিড়ে যুক্ত হয়েছে ৫০ হাজার পাটকল শ্রমিক। ৪০ লাখ পাট চাষির জীবন এগুচ্ছে চরম অনিশ্চয়তার দিকে। সরকার ও সেই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট মিলে বাজার লোকসানের মিথ্যা অজুহাত তুলে পাট ও চামড়াকেও ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন