শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নদীতে পানি সঙ্কট ভারতের কারণে

বিশ্ব নদী দিবসে ড.খলিকুজ্জামান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০৯ এএম

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যেকার নদী সংকটের জন্য দায়ী ভারতের আমলাতন্ত্র। বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তঃদেশীয় নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যাসহ সঠিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্ব এগিয়ে এলেও বিজেপি সরকারের আমলাতন্ত্র বাধা সৃষ্টি করছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। গতকাল রোববার বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত বিশ্ব নদী দিবসের ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, এখন তিস্তা নদীর বাংলাদেশ অংশের খনন ও পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে একটি প্রকল্পে অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তা নিয়ে চীন এগিয়ে আসার পর ভারতের বিভিন্ন মহলে প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।

গঙ্গা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্রসহ আন্তঃদেশীয় নদী নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. খলীকুজ্জমান। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক নদীগুলো ব্যবস্থাপনার বিষয়ে ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে বিভিন্ন সমঝোতা স্মারক হলেও সেগুলো বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। ২০১৩ সালে ড. মনমোহন সিংহ ঢাকায় আসার পর তিস্তা নিয়ে সমঝোতা চুক্তি হল। পরে আবার নেপালে নদী নিয়ে আঞ্চলিক সামিটে ভারতের একজন প্রভাবশালী আমলা বললেন মনোমহনের সফরে চুক্তির বিষয়টি বিবেচনায়ও নেওয়া যাচ্ছে না। গবেষণার ক্ষেত্রে নদীর নাম নিয়েও তারা ঝামেলা করে। ভৌগোলিকভাবে ভাটি অঞ্চলে থাকা বাংলাদেশের ওপর দিয়ে যে শত শত নদী ও শাখা নদী বঙ্গোপসাগরের দিকে গড়িয়ে গেছে তার অধিকাংশই হিমালয় থেকে উৎপত্তি হওয়ার পর প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত হয়ে নেমেছে। সে কারণে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ জুড়েই থাকে গঙ্গা নদীর পানিচুক্তি, তিস্তার পানিবন্টন কিংবা ব্রহ্মপুত্র নদীর ওপর নির্মিত ব্যারেজগুলো নিয়ে।

খলীকুজ্জমান বলেন, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে যত পরিমাণ পানি প্রবাহিত হয়ে সাগরে পড়ে তার ৯২ শতাংশই হিমালয় সৃষ্ট নদীগুলো থেকে আসা। বাকি ৮ শতাংশ পানি অভ্যন্তরীণ বৃষ্টিপাতের ফলে আসে। তিনি বলেন, নদী দখল করে অবকাঠামো গড়ে তোলার কারণেও নদীর মৃত্যু ঘটে। রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন রংপুর অঞ্চলের ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা নুরুল ইসলাম হক্কানী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন