বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ভেঙে গেলো স্বেচ্ছাশ্রমের সাঁকোটি

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা: | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৪ এএম

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের খোর্দ্দা গ্রামে বুড়াইল নদীর উপর নির্মিত কাঠের সাঁকোটি বৃষ্টির পানির স্রোতে কচুরিপানার চাপে ভেঙে ভেসে যাওয়ায় দু’পাড়ের মানুষ পারাপার হতে না পেরে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। যার কারণে জরুরী প্রয়োজনে দু’পাড়ের মানুষ নৌকায় পারাপার হতে বাধ্য হচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গত ২০ বছর থেকে এ কাঠের সাঁকোর স্থানে এলাকাবাসি স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে পারাপার হতেন। খোর্দ্দা ও লাটশালার চরে বেক্সিমকো কোম্পানির নির্মাণাধীন পাওয়ার প্লান্ট প্রকল্পের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও যাতায়াত করতেন এ সাঁকো দিয়ে। এ অবস্থায় দুই বছর আগে পাওয়ার প্লান্ট প্রকল্পের নিজস্ব অর্থায়নে খোর্দ্দা ও লাটশালা গ্রামে ২.৫ কিলোমিটার রাস্তা ও বুড়াইল নদীর উপর কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। এরপর সুন্দরগঞ্জ থেকে পাওয়ার প্লান্ট যাতায়াত পথ সুগম হয়। ছোট-খাটো যানবাহনে মালামাল ও কৃষিপণ্য পরিবহন করা যেত এ সাঁকো দিয়ে। যোগাযোগের পথ সুগম হওয়ায় চরাঞ্চলবাসির জীবন যাত্রার মানও বেড়ে যায়। গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে পানির স্রোত ও কচুরিপানার চাপে গত রোববার উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দা গ্রামের তাম্বুলপুর ছড়া নদী সংযোগ বুড়াইল নদীর উপর নির্মিত কাঠের সাঁকোটি ভেঙে ও ভেসে যায়। এতে পারাপার হতে না পেরে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। চরাঞ্চলের মানুষের উন্নত জীবন যাত্রার ধারা অব্যাহত রাখতে সরকারিভাবে ব্রিজ নির্মাণ করা দরকার।
এ সাঁকোর ওপাড়ে খোর্দ্দাচর ও লাটশালারচর গ্রাম। এ দুই গ্রামের মানুষ সপ্তাহের শনি ও বুধবার মীরগঞ্জহাটে যান মালামাল বেচাকেনার জন্য। এছাড়া মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবকসহ শিক্ষকরাও যাতায়াত করেন এ সাঁকো দিয়েই। খোর্দ্দারচরের স্কুলের বাজার ও লাটশালার চরের নতুন বাজারের ব্যবসায়ীরাও মালামাল পরিবহন করতে না পেরে পড়েছেন বিপাকে। খোর্দ্দা ও লাটশালার পূর্ব পাশে তিস্তা নদী। তিস্তার আসান খেয়াঘাট দিয়েই পার্শ্ববর্তী উলিপুর উপজেলার লোকজন এ সাঁকো দিয়েই পারাপার হয়ে রংপুর ও গাইবান্ধা শহরে যাতায়াত করেন। তারাও পড়েছেন বিপাকে। বুড়াইল নদীর দুই পাড়ের প্রায় ৮/১০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে তারাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জনগণের চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী লুতফুল হাসান জানান, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেছি। কাঠের সাঁকোটি দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা নেয়া হবে। গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে সাঁকোর স্থান পরিদর্শনে গিয়ে অতিদ্রুত যাতায়াতের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন