স্টাফ রিপোর্টার : অটিজম সচেতনতায় ৪৫টি কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন। গতকাল হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে তিনি এই তথ্য জানান। ‘২০১৬ সালে বাংলাদেশে অটিজম এবং অসংক্রামক রোগ পরিস্থিতি’ শীর্ষক এই সেমিনার অনুুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন বলেন, অটিজম সচেতনতায় সরকারের উচিত ১১২টি সুনির্দিষ্ট পন্থায় নিউরো ডিসঅর্ডার ডেভেলপমেন্ট বা অটিজম সচেতনতায় কাজ করা।
তিনি বলেন, অটিজম সমস্যার সমাধানে সচেতনতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে পরিবার, শিক্ষক এমনকি সামাজিকভাবে সবাইকে এ সংক্রান্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলেতে হবে। যাতে করে সমাজের সকলের মধ্যে অটিজম সংক্রান্ত স্বচ্ছ ধারণা থাকে। অটিজম স্ক্রিনিং বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে। বিশেষ করে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে যথেষ্ট রকমের। এসব অবকাঠামো ব্যবহার করে সারাদেশে অটিজম স্ক্রিনিংয়ের কাজ করা যেতে পারে। অটিজম সচেতনতায় মিডিয়ার গুরুত্ব উল্লেখ করে অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন বলেন, ২০১১ সালে যখন বাংলাদেশে এই বিষয় নিয়ে কাজ শুরু হয় তখন মিডিয়ার কারণেই সকলে এই বিষয়টি জানতে পেরেছে। দেশে আজকে যে অটিজম সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে তার পেছনে মিডিয়ার ভূমিকা অপরিসীম। আগামীতে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।
স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএমএ মহাসচিব প্রফেসর ডা. এম ইকবাল আর্সলান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. দীন মো. নুরুল হক। সেমিনারে স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের অনুপস্থিতিতে তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুভাস কুমার সরকার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন