রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার একতা হাউজিং এলাকায় মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে মো. শিরু মিয়া (৪৫) নামের এক ঠিকাদারকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত শনিবার রাতে একতা হাউজিং এলাকার ৮ নম্বর রোডে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত মো. শিরু মিয়া ইট, বালুসহ বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী সরবরাহ করতেন। আদাবরের শেখেরটেক ৯ নম্বর রোডের একটি বাসায় স্ত্রী জোছনা বেগম এবং মামুন ও ইমন নামে দুই ছেলেকে নিয়ে থাকতেন তিনি।
নিহতের ছেলে মো. মামুন জানান, গাজীপুর থেকে শনিবার সন্ধ্যায় বাবা বাসায় এসেছিলেন। এরপর ঢাকা উদ্যান থেকে ফোন পেয়ে তিনি সেখানে চলে যান। বাসায় ফেরার সময় তার সাথে শেষবারের মতো কথা হয়। পরে একজন লোক ফোন দিয়ে জানান, আমার বাবাকে কারা যেন কুপিয়েছে। পরে তাড়াতাড়ি করে ঘটনাস্থলে যান মামুন।
এ সময় রাস্তার পাশে তার বাবার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। নিহতের বোন রাশিদা খাতুন জানান, তার ভাই স্থানীয় কমিশনারের সাথে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। একইসঙ্গে তার ঠিকাদারি ব্যবসা ছিল। ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ে সম্প্রতি কারো সঙ্গে বিরোধ হয়েছিলো বলে তিনি জানান। এলাকার অন্য ঠিকাদারদের সাথে তার বিরোধ চলে আসছিল এবং তাকে ব্যবসা বন্ধ রাখতে বলেছিল। ব্যবসা বন্ধ না রাখার কারণে হতো তারাই এ হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে।
পুলিশ জানায়, শিরু মিয়া একসময় আদাবর এলাকার সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করতেন। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে তাকে প্রতিপক্ষ গ্রুপ হত্যা করতে পারে বলে ধারণা। সিআইডি ক্রাইম সিন ঘটনাস্থল থেকে নিহতের আলামত সংগ্রহ করেছে। গতকাল শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) দুলাল হোসেন জানান, মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধের পাশে একতা হাউজিং এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ২৩৮ নম্বর বাসার সামনের রাস্তায় সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত ও হত্যাকারীকে গ্রেফতারে জন্য অভিযান চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন