রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

৬ মাসের মধ্যেই অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন আসছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৮ এএম

করোনাভাইরাস মহামারীর আকার নেয়ার পর থেকেই একাধিক দেশ ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণায় নেমে পড়েছে। এর মধ্যে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে ব্রিটেনের অক্সফোর্ডের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন। আগামী ছয় মাসের মধ্যেই এটি বাজারে আসবে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।

অক্সফোর্ডের গবেষণা ও ফার্মা সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার মিলিত উদ্যোগে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে অনেক আগেই। সেইসঙ্গে ট্রায়ালও প্রায় শেষ পর্যায়ে। পরীক্ষার সাফল্যই স্বপ্ন দেখাচ্ছে। ব্রিটেনের যা ইঙ্গিত তাতে আরও আগেও ভ্যাকসিন চলে আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে নতুন ইংরেজি বছর শুরুর আগে ভ্যাকসিন চলে এলে, অবার হওয়ার কিছু নেই। সে ভাবেই কাজ এগোচ্ছে।

ভ্যাকসিনের উৎপাদন একবার শুরু হলে হুড়োহুড়ি পড়ে যাবে। কারণ, যে পরিমাণ উৎপাদন হবে বা সম্ভব, তার থেকে চাহিদা বহুগুণে বেশি। এমত অবস্থায় ব্রিটেনের ভ্যাকসিন সংক্রান্ত জয়েন্ট কমিটি একটি বিশেষ নিয়ম তৈরি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, প্রথমে ৬৫ ঊর্ধ্বদের ভ্যাকসিন দেয়া হবে। এ ছাড়া যাদের কোন্ডমর্বিডিটিস বা অন্য কোনও রোগ রয়েছে, তাদের প্রাধান্য দেয়া হবে। দ্বিতীয় ধাপে থাকবেন পঞ্চাশোর্ধ্বরা। সবশেষে তরুণ-তরুণীদের দেয়া হবে এই ভ্যাকসিন।

ব্রিটেনের প্রশাসনের তরফে প্রথম পর্যায়ে ১০০ মিলিয়ন ডোজ করোনা ভ্যাকসিনের অর্ডার দেও হয়েছে। সরকারি ভাবে সাফল্য ঘোষণার আগেই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে। তার কারণ, গবেষকরা একরকম নিশ্চিত এই ভ্যাকসিন অন্তত ৫০ শতাংশ সংক্রমণ কমাতে সক্ষম হবে। ইমপেরিয়াল কলেজ অফ লন্ডনের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষক নিলয় শাহ জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন অনুমোদন পেলেও যে এক বছরের মধ্যে সবাইকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে, তা কিন্তু নয়। তার কারণ, আরও ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।

এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৮ হাজার মানুষের উপর অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে হয়েছে। কিন্তু, এক ভলান্টিয়ারের স্পাইনাল ডিসঅর্ডার দেখা দেয়ায়, ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত দিকগুলি খতিয়ে দেখতে সাময়িক ট্রায়াল বন্ধ হয়েছিল। সিরাম ইনস্টিটিউটকেও নোটিশ দিয়ে ট্রায়াল বন্ধ করতে বলা হয়। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সহায়তায় অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিনটি তৈরি হচ্ছে। ভারত বায়োটেকে ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ও আইসিএমআর যৌথভাবে পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে কোন্ডভ্যাক্সিন তৈরি করছে। জাইডাস ক্যাডিলার বানাচ্ছে জাইকোভি-ডি।

অক্সফোর্ড তো রয়েছেই। গত অগস্টে মার্কিন সংস্থা নোভাভ্যাক্স-এর সঙ্গে চুক্তি হয়েছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের। সেরামই বিশ্বের সবথেকে বড় ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থা। চুক্তি অনুযায়ী এই সংস্থা ১০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন তৈরি করবে। সেগুলি ভারত এবং স্বল্প আয়ের দেশগুলিকে দেয়া হবে। চুক্তি অনুযায়ী, সিরাম ইনস্টিটিউট ভ্যাকসিনের অ্যান্টিজেন কম্পোনেন্ট তৈরি করবে। তা দিয়ে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ২০০ বিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন তৈরি করা সম্ভব। মার্কিন সংস্থার এই ভ্যাকসিন বর্তমানে মিড-স্টেজ ট্রায়ালে রয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্টও ভালো। উচ্চমানের অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। সংস্থার আশা, বছরের শেষেই তারা চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা চালাবে। সূত্র : টিওআই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন