শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

দুর্যোগ সহনীয় ঘর পাবে ১১ হাজার পরিবার

আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস আজ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০২ এএম

আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস আজ মঙ্গলবার। এদিবস উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। এ দিবস উপলক্ষে এবার দেশের নদী ভাঙ্গন কবলীত, বেদে ও হিজড়াদের ১১ হাজার ৬০০টি দুর্যোগ সহনীয় ঘর হস্তান্তর করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ঘরগুলো হস্তান্তর করবেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন এ তথ্য জানান। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুত কর্মসূচিতে ১৮ হাজার ৫০৫ নারী স্বেচ্ছাসেবকের অন্তর্ভূক্তির কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে।
আজ মঙ্গলবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২০ এর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। “দুর্যোগে ঝুঁকি হ্রাস সুশাসন, নিশ্চিত করবে টেকসই উন্নয়ন” স্লোগান নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হবে। এবারের প্রতিপাদ্যের তাৎপর্য অনুধাবন করে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে সরকার। আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ডবিষয়ক মহড়া সম্পন্ন করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করবেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: এনামুর রহমান।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন ইনকিলাবকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে দেশের এবার নদী ভাঙ্গন কবলীত, বেদে ও হিজড়াদের ১১ হাজার ৬০০টি দুর্যোগ সহনীয় ঘর বিতরন করা হবে। প্রতিটি ঘরে থাকবে সোলার সিসটেম আর বব্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা। প্রায় ৫০০ বর্গফুটের এই ঘরগুলোতে থাকবে দুটি করে রুম, একটি করিডোর, একটি বাথরুমসহ থাকবে রান্না ঘরও। তিনি বলেন, সারাদেশে ৮ লাখ ৮২ হাজার ৩৩৪জনকে এসব ঘর পর্যাক্রমে দেয়া হবে। গত অর্থ বছর ১১ হাজার ৬০০ জনের অনুমোদন পাওয়া যায়। সে গুলোর কাজ শেষ। আগামীতে আরো ৫৯ হাজার নতুন ঘর তৈরি করা হবে।
এসব ঘর তৈরি করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে আড়াই লাখ টাকা। ঘরগুলো পেতে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টরা সুবিধাভোগীদের নির্বাচন করবেন। যাদের এক বা দুই শতাংশ জায়গা আছে কিন্তু ঘর নেই বা ঘর আছে কিন্তু তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ তারা এই ঘর পাবে। আবার যাদের পরিবারে পুরুষ সদস্য নেই বা পুরুষ সদস্য আছে কিন্তু তার বয়স ৬৫ বছরের ওপরে এমন পরিবারও পাবে ঘর।
##

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন