কর্পোরেট ডেস্ক : ২০১৬ সালে তথ্যনিরাপত্তা বাবদ ব্যয় আগের বছরের তুলনায় ৭ দশমিক ৯ শতাংশ বাড়বে। বৈশ্বিকভাবে তথ্যনিরাপত্তা পণ্য এবং সেবা বাবদ ব্যয় এ বছর পৌঁছবে ৮ হাজার ১৬০ কোটি ডলারে। মার্কিন বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানানো হয়েছে। গার্টনারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কনসাল্টিং এবং আইটি আউটসোর্সিং তথ্যনিরাপত্তা ব্যয়ের বড় দুই খাত। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২০ সালের শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তা যাচাইকরণ, আইটি আউটসোর্সিং এবং ডাটা চুরি রোধে সর্বোচ্চ ব্যয় পরিলক্ষিত হবে। ইন্টারনেট মানুষের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেবাটি থেকে প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধা এবং এর বহুমুখী ব্যবহার উপযোগিতার ফলে প্রতিনিয়তই গ্রাহক সংখ্যা বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট সেবার প্রসারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার। বিশ্বনেতাদের পক্ষ থেকেও তথ্যপ্রযুক্তিকে দিনবদলের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তি খাত কেন্দ্র করে গ্রাহকের গোপনীয়তা এবং তথ্যনিরাপত্তার বিষয়টি বর্তমানে আলোচিত ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ইন্টারনেট এবং টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানগুলোও গ্রাহক তথ্যের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে তথ্যনিরাপত্তা বাবদ ব্যয় বাড়ছে দ্রæত। বৈশ্বিকভাবে প্রতিরোধী নিরাপত্তা বাবদ ব্যয়ে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। কারণ নিরাপত্তা সফটওয়্যার ব্যবসায়ীরা গ্রাহকদের নিয়মিত নিরাপত্তা পণ্য ক্রয়ের পরামর্শ দিচ্ছেন। যদিও তথ্য নিরাপত্তা এবং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট (এসআইইএম) এবং সিকিউর ওয়েব গেটওয়ে (এসডব্লিজি) সলিউশন গ্রাহকদের নিরাপত্তা ত্রুটি শনাক্ত এবং এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে দ্রæত সাড়া দিচ্ছে। বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দ্রæত নিরাপত্তা দুর্বলতা শনাক্ত এবং কার্যকর সমাধানের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী চার বছরে এসডব্লিউজি বাজারে তথ্যনিরাপত্তা বাবদ ব্যয় বাড়বে ৫-১০ শতাংশ পর্যন্ত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন