রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পৌর মেয়রের ব্যক্তিগত উদ্যোগ বগুড়ার শিবগঞ্জে সাড়া ফেলেছে গরীবের অ্যাম্বুলেন্স

প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে : বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌরসভায় চালু করা হয়েছে ‘গরীবের অ্যাম্বুলেন্স’ নামে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশা। এই অ্যাম্বুলেন্সে পৌর এলাকার জরুরি ও মুমূর্ষু রোগিরা বিনা ভাড়ায় হাসপাতালে আসা-যাওয়ার সেবা পাবেন।
‘গরীবের মেয়র’ বলে পরিচিত তৌহিদুর রহমান মানিক তার পৌরসভায় এই সেবা চালু করেছেন। তার এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সবাই। জুলাই মাসের ১৫ তারিখ থেকে চালু হওয়ার পর থেকে পৌর এলাকার ১০টি পরিবারকে বিনামূল্যে এ সেবা দেয়া হয়েছে।
শিবগঞ্জ পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, অ্যাম্বুলেন্সটি তৈরি করতে মোট ব্যয় হয়েছে তিন লাখ টাকা। এতে কোনো তেল-মবিল লাগে না কারণ এটি ব্যাটারি চালিত। এর ব্যাটারি একবার চার্জ দিলে এটি চলতে পারে দেড়শ’ কিলোমিটার পথ। এ জন্য একজন অস্থায়ী চালকও নিয়োগ দিয়েছে পৌরসভা। যার ডিউটি ২৪ ঘণ্টা। এর সেবা সংক্রান্ত সেøাগানের ভাষা হচ্ছে ‘সেবা নিন, সুস্থ থাকুন’।
এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও পৌর মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক জানান, পৌর এলাকার কোনো অসুস্থ ও মুমূর্ষু রোগি যেনো অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়, সে চিন্তা থেকেই অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই সেবা দেয়া হবে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে। পৌর এলাকার যে কোনো নাগরিক এ সেবা পেতে পারেন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সেবা ‘মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আগামীতে আরও বড় পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ইচ্ছে আছে তার। জানা গেছে, ২০০২ সালে প্রথম শিবগঞ্জ পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। ৩৯টি পাড়া নিয়ে গঠিত এই পৌরসভার জনসংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার।
অ্যাম্বুলেন্স চালক মাসুদ রানা বলেন, এ পর্যন্ত ১০টি পরিবারকে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে এক নারী রোগিকে বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে আনা-নেয়া করা হয়েছে। এ সার্ভিস চালু হওয়ায় মানুষ দারুণ খুশি হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আল-মানসুর মূছা বলেন, “স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘ সাড়ে চার বছর ধরে বিকল। ওপর মহলে অনেক লেখালেখি করেও মেরামত করা যায়নি। সেক্ষেত্রে মেয়রের ‘গরীবের অ্যাম্বুলেন্স’ এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এতে করে পৌর এলাকার মানুষ অনেক উপকৃত হবেন।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুর রহমান বলেন, ‘উদ্যোগটি খুবই ভাল। আগামীতে আমরাও প্রতিটি ইউনিয়নের অ্যাম্বুলেন্স চালুর ব্যবস্থা করবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন