ফেসবুক লাইভে ধর্ষণ মামলার বাদী সম্পর্কে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি আমলে নিয়েছেন আদালত। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) এই মামলা তদন্ত করে আগামী ২৯ নভেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামস জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন।
এর আগে বুধবার সকালে নুরুল হকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। মামলায় ওই ছাত্রী আদালতের কাছে অভিযোগ করেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে ১১অক্টোবর তাকে দুশ্চরিত্র হিসেবে অভিহিত করেছেন নুরুল হক, যা মিথ্যা, মানহানিকর ও অপমানজনক।
মামলার আরজির তথ্য বলছে, এই ঘটনায় তিনি নুরুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য শাহবাগ থানায় যান। সেখানে মামলা গ্রহণ না করায় তিনি ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে এই মামলা করতে এসেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী গত মাসে ছাত্র পরিষদের নেতা হাসান আল মামুনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে লালবাগ ও কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণের অভিযোগে দুটি মামলা করেন। মামলায় নুরুল হককেও আসামি করা হয়।
আরও বলা হয়, আসামি ছাত্র অধিকার পরিষদ নামীয় একটি সংগঠনের নেতা। তার এমন উসকানিমূলক বক্তব্যগুলো আক্রমণাত্মক, বিরক্ত, অপমান, অপদস্ত ও সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিপ্রায়ে প্রকাশ ও প্রকাশ করে বাদীকে ও তার পরিবারকে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বা সমাজের সঙ্গে শত্রু তা ও ঘৃণা সৃষ্টি করে সমাজে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়। বাদীর সুনাম নষ্ট করে ও মানহানি করে। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন