পিয়ারা নবী- মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা:) আল্লাহ তায়ালার সর্বশেষ নবী ও রাসুল। তাঁর শরিয়াত এবং কিতাব (কোরআন) পূর্ববর্তী সকল শরিয়াত ও কিতাব রহিতকারী। তাঁর পরে কেয়ামত অবধি আর কোনো নবী আগমন ঘটবে না। সুতরাং তাঁর পরে কেউ নবী হওয়ার দাবি করলে, সে নিঃসন্দেহে কাফির, জিন্দিক এবং তার অনুগত ও পদলেহীরা ও কাফির এবং মুরতাদ বলে গণ্য হবে। আল কোরআনে মহান রাব্বুল আলামীন এই বিষয়টিকে অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। এরশাদ হয়েছে : (ক) মুহাম্মাদ (সা:) তোমাদের মধ্যে কোনো প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের পিতা নন, বরং তিনি আল্লাহপাকের রাসুল ও সর্বশেষ নবী। (সুরা আহযাব : আয়াত ৪০)। এ আয়াতে কারীমায় ‘খাতামুন নাবিয়্যীন’ শব্দদ্বয় দ্বারা ‘খাতামুল মুরসালিন’ ও বোঝানো হয়েছে। (আল ইয়াত্তয়া-কিতু ওয়াল জাওয়াহিরু : খন্ড-২, পৃষ্ঠা-৩৭)।
হাবিবে কিবরিয়া মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা:) কেয়ামত পর্যন্ত বিশ্ববাসীর জন্য পূর্ণাঙ্গ ইসলাম ধর্ম রেখে গেছেন। এতদপ্রসঙ্গে আল কোরআনে ঘোষিত হয়েছে : (খ) যে ইসলাম ভিন্ন অন্য কিছুকে ধর্ম হিসেবে অন্নেষণ করে, তার নিকট হতে তা আদৌ গ্রহণ করা হবে না। আর সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (সুরা আলে ইমরান : আয়াত ৮৫)। (গ) সকলের জানা উচিত যে, এ কথার উপর উম্মাতে মোহাম্মাদীর ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা:) সর্বশেষ রাসুল, যেমন তিনি সর্বশেষ নবী। সুতরাং তারপরে কেউ নাবুওয়্যাতের দাবি করলে সে ডাহা মিথ্যাবাদী। (আকীদায়ে তাহাবিয়্যাহ সায়াশ শারহে : পৃষ্ঠা-১৬৭)। আর এ কথাও প্রমাণিত সে, কেউ মিথ্যা নাবুওয়্যাতের দাবিদার ব্যক্তির নিকট দলিল প্রমাণ চাইলে সেও মুসলিম উম্মাহবহির্ভূত বলে গণ্য হবে। হজরত ইমাম আবু হানিফা (রহ:) এর জামানায় এক ব্যক্তি নাবুওয়্যাতের দাবি করল। সে বলল, আমাকে একটু অবকাশ দিন। আমি আমার দাবির স্বপক্ষে প্রমাণ উপস্থাপন করব। ইমাম সাহেব বললেন, যে ব্যক্তি তোমার কাছে প্রমাণ তালাশ করবে সেও কাফির হয়ে যাবে। কেননা, রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেছেন : আমার পর আর কোনো নবীর আগমন ঘটবে না। (ইমাম বারাখীকৃত মানাকিবে ইমাম আজম : খন্ড ১. পৃষ্ঠা-১৬১)।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন