শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

এমসি কলেজে গণধর্ষণের তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে

শুনানি ১ নভেম্বর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০০ এএম

এমসি কলেজে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় দাখিলকৃত যৌথ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাইকোর্টের হস্তগত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো.মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের ডিভিশন বেঞ্চে প্রতিবেদনটি দাখিল করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো.রাসেল চৌধুরী।এর আগে গত সোমবার প্রতিবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের দফতরে ১৭৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা পড়ে। আদালত প্রতিবেদনের ওপর শুনানির তারিখ ধার্য করেন ১ নভেম্বর। শুনানির আগে প্রতিবেদনে কি আছে তা জানাতে সম্মত হননি সরকারপক্ষীয় এ আইন কর্মকর্তা।

এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অনুসন্ধানে যৌথ কমিটি গঠন করে দেন হাইকোর্ট। সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনারকে এই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি অনুসন্ধানকালে কমিটির সদস্যদের নিরাপত্তা ও তাদের সহযোগিতা করতে পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না-এই মর্মে রুল জারি করেন আদালত।
এমসি কলেজে স্বামীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের দৃষ্টিতে আনেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন। তখন আদালত এ বিষয়ে আইনজীবীকে আবেদন দাখিল করতে বলেন। পরে আইনজীবী গৃহবধূর ধর্ষণের ঘটনায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে আদালতে আবেদন জানান।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে এমসি কলেজে বেড়াতে আসেন এক গৃহবধু। এসময় ক্যাম্পাস থেকে কয়েকজন ছাত্র ওই তরুণীকে স্বামীসহ কলেজ ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা স্বামীকে বেঁধে মারধর করে এবং গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী সেদিন (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন। মামলায় নাম উল্লেখসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়। অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন, এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ,অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। তারা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আসামিদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত,বাকিরা এমসি কলেজের শিক্ষার্থী। এরই মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকব আসামিকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন