করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সফল হয়েছে পাকিস্তান। বিশ্বের অন্যদেশগুলোর তুলনায় পাকিস্তান এ ক্ষেত্রে বেশ সফলতার পরিচয় দিয়েছে। বিশেষ ভারতের তুলনায় তারা অনেক বেশি সফল।
এদিকে দ্বিতীয় দফা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এখনি কার্যক্রর পদক্ষেপ নিতে শুরু করে দিয়েছে দেশটি।
পাকিস্তানে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হতে পারে। দেশটির প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়সাল সুলতান গত মঙ্গলবার এ তথ্য জানান।
গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এক আলোচনায় ফয়সাল সুলতান জানান, পাকিস্তানে দিন দিন কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ বাড়ছে। কয়েক দিন আগে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৪০০ থেকে ৫০০। এখন তা ৭০০ থেকে ৭৫০ হচ্ছে। এর পাশাপাশি বাড়ছে মৃত্যুর হারও। পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের সংখ্যা আগে ছিল ২ শতাংশের কম। এখন এটি প্রায় ৩ শতাংশের কাছাকাছি।
সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৈঠক করে করোনা নিয়ন্ত্রণে কাজ করা দেশটির শীর্ষ জাতীয় কমিটি এনসিওসি।
এতে সভাপতিত্ব করেন দেশটির পরিকল্পনা ও উন্নয়নমন্ত্রী আসাদ উমর। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, ঘরের বাইরে বেরোলে সকল নাগরিকের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হবে। সকল সরকারি ও বেসরকারি অফিসেও মাস্ক পরতে হবে।
বৈঠকে করোনার অ্যান্টিজেন টেস্টেরও অনুমোদন দেওয়া হয়। পিসিআর টেস্টের চেয়ে অ্যান্টিজেন টেস্টে সময় অনেক কম লাগে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন