বাংলাদেশে দুই কোটির বেশি মানুষ বিভিন্ন ধরণের প্রতিবন্ধীতার স্বীকার। এই বিশাল জনগোষ্ঠির চিকিৎসা ও পূর্ণবাসনে অকুপেশনাল থেরাপিস্ট আছেন মাত্র ২৪৬ জন। প্রতি ৬৪ হাজার রোগীর জন্য ১ জন চিকিৎসক। যা চাহিদার তুলনায় খুবই অপ্রতুল। এজন্য থেরাপিস্টদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমান পদ সৃষ্টি এবং উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করা দরকার। গতকাল বিশ্ব অকুপেশনাল থেরাপি দিবস ২০২০ উপলক্ষে আয়োজিত এক গোল টেবিল বৈঠকে বক্তারা একথা বলেন।
পুনবার্সন স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘বেলা হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন ফাউন্ডেশন’ এর আয়োজনে গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যান প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, বিশেষ অতিথি ছিলেন নিউরোডেভলপমেন্টাল ডিজএ্যাবিলিটি প্রটেকশনাল ট্রাস্ট (এনডিডি ট্রাস্ট) এর চেয়ারপারসন প্রফেসর ডা. মো. গোলাম রব্বানী।
প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, প্রতিবন্ধীতা অসুস্থতা নয়। তারাও সমাজের মুল ধারার মানুুষ। তারা যেন সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে তার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। দেশের ১০ শতাংশ মানুষ কোন না কোন ভাবে প্রতিবন্ধীতার শিকার। সিআরপি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সম্বনয়কারী ড. ভেলরি এন টেইলর এর সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল এর নিবার্হী সদস্য ডা. শামীম আহাম্মদের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বিশ্ব অকুপেশনাল থেরাপির প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে তথ্যমূলক প্রেজেনটেশন উপস্থাপন করেন সিআরপি এর সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. জুলকার নায়েন (ওটি), আয়োজনকারী সংস্থা বেলা হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন ফাউন্ডেশন এর নির্বাহি পরিচালক ডা. রোকসানা আক্তার (পিটি), বক্তব্য রাখেন সিআরপি এর নিবার্হী পরিচালক মো. শফিক উল ইসলাম, বাংলাদেশ হেলথ প্রফেশনস ইন্সিটিটিউটের (বিএইচপিআই) প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. মো. ওমর আলী সরকার, জাতীয় প্রতিবন্ধি উন্নয়ন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা) রাজীব হাসান প্রমুুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন