আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় নগরীতে ঐহিত্যবাহী পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) জশনে জুলুসে (র্যালি) মানুষের ঢল নামে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুক্রবার সকালে আলমগীর খানকাহ থেকে শুরু হয়ে বর্ণাঢ্য র্যালিটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জামেয়া সংলগ্ন জুলুস ময়দানে এসে শেষ হয়।
সেখানে আনজুমানের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে সিরিকোট দরবার থেকে আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করেন। এর আগে আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ ও আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ আহমদ শাহ ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন।
সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ বলেন, মহান আল্লাহ তার প্রিয় হাবীবকে এদিনে পৃথিবীতে প্রেরণ করে সৃষ্টি জগতের প্রতি এহসান করেছেন। আর এ এহসানের শোকরিয়া স্বরূপ পবিত্র জশনে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালন করে আসছে মুসলিম সম্প্রদায়। মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে লাখো ধর্মপ্রাণ মুসলমান জুলুসে অংশগ্রহণ করায় তিনি মোবারকবাদ জানান। এজন্য তিনি আনজুমান, গাউসিয়া কমিটি ও সুন্নি মুসলমানদের ধন্যবাদ জানান।
মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা (দক্ষিণ) মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মান্নাফী, আনজুমান ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় গাউসিয়া কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ।
উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টের এডিশনাল জেনারেল সেক্রেটারি মুহাম্মদ সামশুদ্দিন, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি মুহাম্মদ সিরাজুল হক, এ্যাসিসটেন্ট জেনারেল সেক্রেটারি এসএম গিয়াস উদ্দিন শাকের, ফাইন্যান্স সেক্রেটারি মুহাম্মদ সিরাজুল হক, প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারি প্রফেসর কাজী শামসুর রহমান, জামেয়ার চেয়ারম্যান প্রফেসর মুহাম্মদ দিদারুল ইসলাম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন