শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

৩ রাজ্যে হামলা, কাশ্মীরেই নিহত ১৫

প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ভারতের স্বাধীনতা দিবসে ধারাবাহিক বোমায় কেঁপে উঠল আসাম ও মনিপুর
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের স্বাধীনতা দিবসে দেশটির বিভিন্ন স্থানে হামলা, সংঘর্ষ ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৯ জন নিহত হয়েছে কাশ্মীরে। এছাড়া রাজ্যের অন্যান্য স্থানে সহিংসতায় নিহত হন আরো ৬ জন। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ জনে। সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের কর্মকর্তা অতুল কারওয়াল বলেন, শ্রীনগরের নওয়াহাটা এলাকায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা চোরাগোপ্তা হামলায় আহত হন। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এ সময় বন্দুকযুদ্ধে দুই স্বাধীনতাকামী নিহত হন। আহত হয়েছেন আরো নয়জন। নিহতদের পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ। ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য কাশ্মীরের বড় এলাকাজুড়ে গত ৯ জুলাই থেকে কারফিউ জারি করেছে সরকার। শীর্ষস্থানীয় স্বাধীনতাকামী নেতা বুরহান হওয়ানি নিহত হওয়ার পর থেকে সেখানে সহিংস সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৫০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত এবং হাজারো মানুষ আহত হয়েছে। অপর এক খবরে বলা হয়, গত সোমবার ভারতের আসাম, মনিপুর ও কাশ্মীরে এসব সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটে। জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের শ্রীনগরের নৌহাট্টা এলাকার বিএসএফ শিবিরে স্বাধীনতাকামীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন এক সিআরপিএস সেনা। একই ঘটনায় আহত হয়েছে ৯ সিআরপিএফ সদস্য। শ্রীনগরের ঐতিহাসিক জামে মসজিদের পাশে হামলার এ ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিতে নিহত হন এক সিআরপিএফ সেনা। এরপর ভারতীয় সেনাদের পাল্টা গুলিতে দুই স্বাধীনতাকামী নিহত হয়। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। অন্যদিকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মনিপুরেও গত সোমবার স্বাধীনতা দিবস উদযাপনকালে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুইজন নিরাপত্তারক্ষী ও দুইজন বালিকা। জানা গেছে, রাজ্যের রাজধানী ইম্ফলের টেরা এলাকায় বোমা বিস্ফোরিত হয়। যেখানে একজন বয়স্ক দম্পতি আহত হন। এর আগে মনিপুরে ও আসামে উলফা ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব অসম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বয়কট এবং রাজ্যজুড়ে হরতালের ডাক দেয়। লোকজন সন্ত্রাসের আশঙ্কায় ঘর থেকে বের হয়নি। ফলে ইম্ফলের বেশিরভাগ দোকানপাটই বন্ধ ছিল। একইদিন ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে আসামের তিনসুকিয়া, শিবসাগর এলাকা। পুলিশ বলছে, চরাইদেও জেলার তেঙ্গাপুখারি এলাকার একটি ফাঁকা জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটে। ওই জেলার এসপি এপি তিওয়াড়ির দাবি, জঙ্গিরা মাটির তলায় বিস্ফোরক পুঁতে রেখেছিল। এছাড়া আসামের তিনসুকিয়া এলাকায় আরো চারটি বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানকার ইন্দিরা গান্ধী স্কুলের কাছে ইমম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসড বা আইইডি রাখা ছিল। পুলিশ কর্মকর্তা মুগধা জয়তি মাহান্তা বলেন, দুমদুমা এলাকার বাদলবেথা টি এস্টেটের কাছে ফিলোবারি বাইপাস সড়কের পাশে এক নালায় বেশ কয়েকটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। এরপর রাজ্যের ফুলবাড়ীর গামতুমতি এলাকায় চতুর্থ বিস্ফোরণটি ঘটে। পিটিআই, জিনিউজ, আইএএনএস।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
বিজয় ১৭ আগস্ট, ২০১৬, ৩:৪৪ পিএম says : 1
এরকম বোমা হামলা করে কি স্বাধীনতা অর্জন করা যায় ?
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন