আজ শনিবার জাতীয় সমবায় দিবস। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে সারাদেশে দিবসটি পালিত হবে। এ বছর জাতীয় সমবায় দিবসের প্রতিপাদ্য বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন। গতকাল শুক্রবার দিবসটি উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টা ৩০মিনিটে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে জাতীয় সমবায় পুরস্কার ২০১৯ প্রদান করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ পুরস্কার প্রদান করার কথা রয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট তার বাণীতে বলেন, সংবিধানে মালিকানার নীতি হিসেবে সমবায়কে জাতীয় অর্থনীতির দ্বিতীয় খাত হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। তাই সমবায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে সকলকে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতা অর্জনে সমবায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। শতাব্দী প্রাচীন এ আন্দোলন বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সমবায়ের চেতনাকে প্রবল ও অর্থবহ করে তুলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে সমবায়ের যাদুস্পর্শে সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে মূল্যবোধের চর্চা ও সমবায় ভিত্তিক সমাজ গঠন করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার আহŸান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতা অর্জনে সমবায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। শতাব্দী প্রাচীন এ আন্দোলন বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সমবায়ের চেতনাকে প্রবল ও অর্থবহ করে তুলেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা। তিনি দরিদ্র-সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ভাগ্যন্নোয়নে গণমুখী সমবায় আন্দোলনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। এ বছর কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস পুরো বিশ্বে স্থবিরতা সৃষ্টি করলেও, সমবায় সমিতিগুলো এ সময় নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সদস্যদের ঋণ মওকুফসহ দুর্গত সদস্যদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত সদস্যদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন