স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, শেখ হাসিনা এক এবং অদ্বিতীয়। তিনি বিএনপি-জামায়াতকে ইঙ্গিত করে বলেন, অনেকে তাদের সঙ্গে সমঝোতা, আলোচনার কথা বলেন। জামায়াত ছাড়লে বিএনপির সঙ্গে আলোচনার কথা বলেন। কেন আলোচনা করা হবে? বিএনপির জন্মই হয়েছে জামায়াতের গর্ভ থেকে, তাহলে কেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে? তারা তো কিলার। কিলিং মিশন নিয়ে এগুচ্ছে। তাদের সঙ্গে আলোচনার কোনো প্রশ্নই আসে না।
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে কনফারেন্স লাউঞ্জে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘জাতির লক্ষ্য পূরণে রাজনীতি ও বর্তমান বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বি বি ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন এ সভার আয়োজন করে।
শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী দাবি করে কামরুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা এক এবং অদ্বিতীয়। তিনি বঙ্গবন্ধুর মতই এক এবং অদ্বিতীয়। শেখ হাসিনর জনপ্রিয়তা এখন আকাশচুম্বী। তার ইমেজ ধ্বংসের জন্যই এই জঙ্গিবাদের উত্থান। পদ্মা সেতু যাতে না হয়, সব দিক দিয়ে বাংলাদেশকে পঙ্গু করে দিতেই এই সব কর্মকা- ঘটাচ্ছে তারা। একাত্তরের প্রতিশোধ নিতেই স্বাধীনতাবিরোধী চক্র আইএস-এর মতো বিভিন্ন রূপে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এরা চায় শেখ হাসিনাকে থামিয়ে দিতে। বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে। এজন্যই জঙ্গবাদী কর্মকা- চালিয়ে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করার চেষ্টা করছে তারা। ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বিএনপির জন্ম হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা প্রতিশোধ জিজ্ঞাংসা থেকেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। জিয়াউর রহমানকে ব্যবহার করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর হত্যার কুশীলব হিসেবে। সেদিন পাকিস্তানী দূতাবাস এবং আমেরিকান দূতাবাস সারা রাত খোলা ছিল। ৭৫ আর আজকের জঙ্গিবাদী তৎপরতা বিচ্ছিন্ন নয়। এটা একই সুতোয় গাঁথা।
তিনি বলেন, ৭৫’ পট পরিবর্তনের পরের অবস্থা দেখেন, খুনিদের রক্ষা করা, বিদেশি দূতাবাসে খুনিদের চাকরি দেয়া, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করা, পরাজিত শক্তিদের রাজনীতির সুযোগ দেয়া সবই করেছে তারা।
বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রশ্নই আসে না মন্তব্য করে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, ২০০৪ সালে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছে, যারা আগুন সন্ত্রাসী তাদের সঙ্গে কিসের আলোচনা। এরা কিলার। এদের চূড়ান্ত টার্গেট শেখ হাসিনা। সুতরাং জামায়াতকে ছাড়লেও এদের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রশ্নই ওঠে না।
বি বি ফাউন্ডেশনের সভাপতি বাহাদুর ব্যাপারীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, গবেষক ড. আলাউদ্দিন আলম, বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফের শাহ শাহনাজ সুলতানা, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ফারুক হোসেন, আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহ-সম্পাদক মারুফা আক্তার পপি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আরিফা রহমান রুমা, বিবি ফাউন্ডেশন সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান তপন প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন