চট্টগ্রাম ব্যুরো
ঘুষ গ্রহণকালে বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ড- বিটিসিএল’র বিভাগীয় প্রকৌশলী ফোনস (আভ্যন্তরীণ) প্রদীপ দাশসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। জব্দ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯০০ টাকা। গ্রেফতার অপর দুইজন হলো- বিটিসিএলের প্রধান সহকারী গিয়াস উদ্দিন ও টেলিফোন অপারেটর হুমায়ুন কবির। গতকাল (বুধবার) দুপুরে নগরীর কোতোয়ালী থানার বিটিসিএল নন্দনকানন কার্যালয়ে এ অভিযান চালায় দুদক। এতে নেতৃত্ব দেন দুদক চট্টগ্রামের উপসহকারী পরিচালক মানিকলাল দাস।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপসহকারী পরিচালক মানিক লাল দাশ জানান, সাত মাস আগে অবসরে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধা উপসহকারী প্রকৌশলী আবুল কাশেমের কাছ থেকে অবসরকালীন টাকা উত্তোলনের জন্য ঘুষ দাবি করেন গ্রেফতারকৃরা।
এ অভিযোগ পেয়ে দুদকের একটি দল টেলিফোন বোর্ডের কার্যালয়ে অবস্থান নেয় জানিয়ে তিনি বলেন, ঘুষের টাকা নেয়ার সময় গিয়াস ও হুমায়ুন কবিরকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
পরে বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রদীপ দাশকেও গ্রেফতার করা হয়। দুদক কর্মকর্তা মানিক জানান, গ্রেফতারকৃতদের অফিসকক্ষে তল্লাশি চালিয়ে কয়েকটি জমির দলিল ও সঞ্চয়পত্রও জব্দ করা হয়। ঘটনা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এ দুদক কর্মকর্তা।
অবসরপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কাশেম ভুঁইয়া তার অবসরকালীন ভাতার ফাইলটি আগ্রাবাদ অফিসে প্রেরণের জন্য ওই তিনজন ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। তাদের দাবি অনুযায়ী তিনি গতকাল বিশ হাজার টাকা দেন। তার কাছ থেকে ঘুষের ২০ হাজার টাকা নেয়ার সময় বিটিসিএলের প্রধান সহকারী গিয়াস উদ্দিন ও টেলিফোন অপারেটর হুমায়ুন কবিরকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় গিয়াস উদ্দিনের অফিস কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে তার ও তার স্ত্রীর নামে করা ৮৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও নগদ ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এরপর বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রদীপ দাশের অফিস কক্ষে তল্লাশি চালানো হলে একটি স্টিল কেবিনেটের ড্রয়ারে আরও ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯০০ টাকা পাওয়া যায়। ড্রয়ারে ১৭ লাখ ৮৫ হাজার ও ২ লাখ ৪০ হাজার টাকায় কেনা দুটি জমির দলিলও পাওয়া গেছে। ওই জমি গিয়াস উদ্দিন ও হুমায়ুন কবিরের নামে কেনা হয়। এরপর প্রদীপ দাশকেও গ্রেফতার করা হয়। অভিযানকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাব্বির রহমান সানি উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন