রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় মেয়ের সামনে মরিয়ম বেগম (৪৮) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকাল ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মরিয়ম বেগম লক্ষীপুর সদর উপজেলার কাভার্ডভ্যান চালক নুর ইসলামের স্ত্রী। তিনি তিন সন্তান নিয়ে মাতুয়াইলের মেডিক্যাল সংলগ্ন মুসলিমনগরে থাকেন।
মরিয়ম বেগমের মেয়ে জান্নাত আক্তার জানান, গতকাল সকালে তার মাকে নিয়ে শনিরআখড়া একটি কসমেটিকসের দোকানে যাচ্ছিলেন। পথে মাতুয়াইল মেডিক্যালের সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি বাস তার মাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, মাতুয়াইল মা ও শিশু হাসপাতালের সামনে মেঘালয় পরিবহনের একটি বাস ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার পরপরই চালকসহ বাসটি জব্দ করা হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে কদমতলীর দক্ষিণ দনিয়া এলাকায় বিদুৎস্পৃষ্টে হয়ে জিয়াউল হাসান (৩৭) নামের এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুর ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুর সোয়া ২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত জিয়াউল হাসানের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায়। দনিয়া এলাকায় কোচিংয়ে শিক্ষকতা করতেন তিনি।
নিহতের ভাই এস এম মামুন বলেন, কদমতলীর দক্ষিণ দনিয়া রহমতবাগের দোতলা বাসার নিচ তলায় সম্প্রতি নতুন বৈদ্যুতিক লাইন নেয়া হয়েছে। বাসার লাইন চেক করার সময় জিয়াউল হঠাৎ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। অচেতন অবস্থায় দ্রুত ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি মারা যান। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, লাশ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন