বিগত কয়েক মাস ধরে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারি বিশ্বজুড়ে হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে, কোনরূপ স্বীকৃতি প্রাপ্তির অঙ্গীকার বা প্রত্যাশা ছাড়াই শুধুমাত্র মানবিক কারণে অনেকেই এ ভাইরাস মোকাবিলায় নিঃসার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের স্বেচ্ছাসেবীরা এ কঠিন সময়ে নিজেদের জীবন বিপন্ন করে মানুষকে উৎসাহিত করতে নিরলস নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
এ ক্রান্তিকালে দেশ ও মানুষের জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করে যাওয়া স্বেচ্ছাসেবীদের স্বীকৃতি দিতে স্থানীয় সরকার, পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ইউএনভি বাংলাদেশ এবং ওয়াটারএইড ‘আইভিডি বাংলাদেশ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ উদ্যোগ চালু করেছে।
স্বেচ্ছাসেবাকে উৎসাহিত করতে আগামী ৫ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী ‘ইন্টারন্যাশনাল ভলান্টিয়ার ডে’ (আইভিডি) উদযাপন করা হবে। এ দিবস উপলক্ষে, দেশের সবচেয়ে নিবেদিত ও কঠোর পরিশ্রমী ১৫ জন স্বেচ্ছাসেবীকে ‘আইভিডি বাংলাদেশ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ প্রদান করা হবে। এ পুরস্কারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ভলান্টিয়ার ফর কোভিড-১৯ রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি’। এ পুরস্কারের জন্য আগ্রহী স্বেচ্ছাসেবীদের দক্ষতা মূল্যায়নের উদ্দেশ্যে বিস্তারিত কার্যবিবরণ প্রদানের মাধ্যমে আয়োজকরা তাদেরকে আবেদনপত্র জমা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ নিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এর মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিগত কয়েক বছর ধরে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে স্বেচ্ছাসেবীরা গুরুত্বপূর্র্ণ ভূমিকা রাখছে। এ মহামারির সময়, হাজারো স্বেচ্ছাসেবী দেশের মানুষের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। এ সব তরুণ স্বেচ্ছাসেবীদের স্বীকৃতি প্রদান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
এ নিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘এ বৈশ্বিক মহামারি চলাকালীন সময়ে তরুণ স্বেচ্ছাসেবীরা গুরুত্বপূর্র্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এবং তাদেরকে এ কাজের স্বীকৃতি প্রদান করা উচিৎ। স্বেচ্ছাসেবীদের স্বীকৃতি প্রদানের বিষয়টি সমাজের জন্য ভালো কিছু করতে অন্যদেরও উৎসাহিত করবে।’
ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে স্বেচ্ছাসেবাকে উৎসাহিত করাই এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য। কোভিড-১৯ এর প্রভাব আমাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে; তবে, এ পরিস্থিতিতে তরুণদের সমন্বিত প্রয়াস কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ যৌথ উদ্যোগটি যে কোন সঙ্কট মোকাবিলায় তরুণদের সম্পৃক্ত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশাবাদী।’
এ নিয়ে ইউএনভি বাংলাদেশের কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর মো. আকতার উদ্দিন বলেন, ‘কোভিড-১৯ সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবীরা ইতিবাচক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে এবং এ পরিস্থতিতিতে স্বেচ্ছাসেবা বিভিন্নভাবে ভূমিকা রেখেছে। ইন্টারন্যাশনাল ভলান্টিয়ারর্স ডে-২০২০ উপলক্ষে দেশের এ ক্রান্তিকালে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য আমরা স্বেচ্ছাসেবীদের ধন্যবাদ ও তাদের কাজের স্বীকৃতি দিতে চাই, যাতে করে দেশের স্বেচ্ছাসেবীরা অনুপ্রাণিত হতে পারে।’
ক্রেস্ট ও সনদ ছাড়াও শীর্ষ ৫ স্বেচ্ছাসেবী যথাক্রমে ১ লাখ, ৭৫ হাজার, ৫০ হাজার, ৩০ হাজার ও ২০ টাকা পুরস্কার পাবেন। এছাড়াও, ৬ থেকে ১৫ তম অবস্থানধারীরা ক্রেস্ট ও সনদ পাবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন