অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে দায়ের করা ১০০ কোটি টাকা মানহানি মামলার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১০ ডিসেম্বর দিন ঠিক করেছেন আদালত। গতকাল মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এ জন্য ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ ঠিক করেন। ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর বাদী স্টুডেন্টস জার্নাল বিডির সম্পাদক মিঞা মো. নুজহাতুল হাচান পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর নারাজি পিটিশন দেন। নারাজি শুনানি শেষে আদালত মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। গত বছরের ৩০ এপ্রিল স্টুডেন্ট জার্নাল বিডির সম্পাদক নুজহাতুল হাসান অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৫০০ ধারায় মানহানির এই মামলাটি দায়ের করেন।
ওই দিনই আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে রমনা থানার ওসিকে অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এজাহারে বলা হয়, গত ২৪ এপ্রিল জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটন বিষয়ক সাইট ‘বিন্দু ৩৬৫’ এর উদ্বোধনকালে মিডিয়া কর্মীসহ সরকারি ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা ও সেলিব্রেটি ব্যক্তিসম্পন্ন মানুষের উপস্থিতিতে শমী কায়সার তার দুটি স্মার্ট ফোন হারিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন।
এরপর সেখানে শমী কায়সার উপস্থিত সাংবাদিকদের চোর বলেন। একপর্যায়ে শমী কায়সার আধা ঘন্টা গেটে দাঁড়িয়ে থেকে সাংবাদিকদের দেহ তল্লাশি করান এবং শমী কায়সারের নির্দেশে তার নিরাপত্তাকর্মীরা মিলনায়তনের মূল প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেন। ওই ঘটনার সময় বিভিন্ন মিডিয়ার ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও বিভিন্ন ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ছাড়া একাধিক সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, সাংবাদিকদের বিষয়ে শমী কায়সারের এমন মন্তব্য দেশের সমস্ত সাংবাদিক গোষ্ঠীসহ সমাজের অন্যান্য মহলের জন্য মানহানিকর এবং অপমানজনক। তার এমন আচরণের প্রচার-প্রসার ও অনলাইনে বিরাজমান থাকায় বাদী ও সাংবাদিক গোষ্ঠীর অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এতে ১০০ কোটি টাকার মান সম্মান নষ্ট হয়েছে বলে বাদী মামলায় দাবি করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন