বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের আলোচ্যসূচি প্রস্তুত করতে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে দিল্লি যাচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে কিছু সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা থাকলেও, তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে কোনও রকম আশার বাণী শোনাতে পারেননি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ১৬ই ডিসেম্বরের পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠক হবার কথা রয়েছে। তার আগেই পররাষ্ট্র সচিব যাচ্ছেন দিল্লিতে, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সাথে বৈঠক করতে। প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষর হতে পারে। এর মধ্যে নীলফামারীর চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ির মধ্যে রেল যোগাযোগ উদ্বোধন এবং স্থলবন্দর ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার বিষয়ে দু›টি সমঝোতা হবার কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক। জেসিসি থেকে যে সকল সিদ্ধান্ত এসেছে, সেগুলো আমরা কতটুকু ফলো করতে পেরেছি, তার মধ্যে থেকে কোন এজেন্ডাগুলোকে আমরা প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি এই কাজগুলো থাকবে। যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকও এ মাসে বসতে পারে জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, তিস্তা চুক্তির জন্য অন্য অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা থেমে থাকতে পারে না। মাসুদ বিন মোমেন আরও বলেন, তিস্তার বিষয় সব সময় আমাদের এজেন্ডাতে থাকবে, সে বিষয়ে সন্দেহ করার কোন কারণ নাই। তবে এক একটা বিশেষ বিষয়ের অগ্রগতি না হলে, অন্য বিষয়গুলো আটকে থাকবে সেটা আমরা বিশ্বাস করতে চাই না।
বৈঠকে দু›দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হবে। আর করোনা পরিস্থিতি ভালো হলে মার্চে নরেন্দ্র মোদী ঢাকা সফরে আসতে পারেন বলেও জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন