পাসের হার ৭৪ দশমিক ৭০ : জিপিএ-৫ আটান্ন হাজার ২৭৬ : আবারও শীর্ষে মাদরাসা বোর্ড : যশোর বোর্ডে দ্বিগুণ পাস
স্টাফ রিপোর্টার : চলতি বছর এইচএসসি, আলিম ও সমমানের ফলাফলে বেড়েছে পাসের হার ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা। উন্নতি হয়েছে ফলাফলের অন্যান্য সূচকেই। আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ও পাস করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা, পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা। তবে শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের সাথে সাথে গতবছরের মতো এবারও কমেছে শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। গতবারের এক হাজার ১৩৩ টি শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের স্থলে এবার শতভাগ পাস করেছে ৮৪৮টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ২৫টি। যা গতবছর ছিল ৩৫টি। বরাবরের মতো এবারও পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড। তবে চলতি বছর এইচএসসি’র ফলাফলে সবচেয়ে চমক দেখিয়েছে যশোর শিক্ষাবোর্ড। গতবছরের চেয়ে এই শিক্ষাবোর্ডে প্রায় ডাবল সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এই বোর্ডে এবার পাসের হার ৮৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। যা গতবছর ছিল ৪৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ। সার্বিক ফলাফলে যশোর বোর্ড তৃতীয় অবস্থানে থাকলেও সাধারণ আটটি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে গতবছর তলানিতে থাকা এই বোর্ড।
এবার এইচএসসি, আলিম ও সমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৮ হাজার ২৭৬ জন শিক্ষার্থী। গতবছর এই পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৬৯ দশমিক ৬০ শতাংশ। এবার পাসের হার বেড়েছে ৫ দশমিক ১০ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বেড়েছে ১৫ হাজার ৩৮২ জন। পাসের হার ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে এবছর বেড়েছে পরীক্ষায় মোট অংশগ্রহণ ও পাশ করা শিক্ষার্থীর সংখ্যাও। এর পাশাপাশি কমেছে শূন্য পাস করা ও শতভাগ পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। এবছর শতভাগ পাস করেছে ৮৪৮টি প্রতিষ্ঠান থেকে। যা গতবছরের তুলনায় শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ২৮৫টি। অন্যদিকে শূন্য পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ১০টি। জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক দিকে ছাত্ররা এগিয়ে থাকলেও পাসের হারে গতবারের মতো এবারও ছেলেদেরকে পেছনে ফেলে দিয়েছে ছাত্রীরা। সার্বিক ফলাফলে ছেলেদের পাসের হার ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং মেয়েদের পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী বেশী হওয়ায় জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে ছেলেরা। চার লাখ ৭৭ হাজার ৪১৭ জন ছাত্রের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২ হাজার ৩৮১ জন। অন্যদিকে চার লাখ ২১ হাজার ৭৩৩ জন ছাত্রীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫ হাজার ৮৯৫ জন। বিগত বছরগুলোতে ৫টি মানদ-ের ভিত্তিতে দেশ সেরা ও প্রতিটি বোর্ডের সেরা ১০ ও ২০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত করা হলেও শীর্ষ স্থান অর্জনে প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম ও অনৈতিক কর্মকা-ের কারণে চলতি বছর এসএসসি’র ফলাফল থেকেই এই পদ্ধতি বাতিল করা হয়। ফলে এসএসসি, দাখিল ও সমানের পরীক্ষার মতো এই পরীক্ষাতেও কোন সেরা প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করা হয়নি।
এ বছর এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ৩ হাজার ৬৪০ জন। যা গতবারের তুলনায় এক লাখ ৪২ হাজার ২৬ জন বেশি। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে আট লাখ ৯৯ হাজার ১৫০ জন বেশি। সংখ্যার হিসেবে এবার এক লাখ ৬০ হাজার ২৭৮ জন শিক্ষার্থী বেশি পাস করেছে। প্রতিবছরের মতো এবারও পাসের হারের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড। এই বোর্ডে গতবছরের তুলনায় পাসের হার কিছুটা কমলেও শীর্ষ স্থানটি অক্ষুণœ রেখেছে এই বোর্ডের শিক্ষার্থীরা। মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৮৮ দশমিক ১৯ শতাংশ। যা গতবছর ছিল ৯০ দশমিক ১৯ শতাংশ। পাসের হারে এবার সবার নিচে রয়েছে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড। ঢাকা, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার বাড়লেও কমেছে রাজশাহী, সিলেট, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে। সাধারণ আটটি বোর্ডে পাসের হার ৭২ দশমিক ৪৭ শতাংশ, যা গতবছর ছিল ৬৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এবার বেড়েছে ৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ। তবে গতবছর পাসের হারে তলানিতে থাকা যশোর বোর্ড এবার সবচেয়ে বড় চমক দেখিয়ে পাসের হার দ্বিগুণ বেড়েছে। ৪৬ শতাংশ থেকে বেড়ে এই বোর্ডের পাসের হার হয়েছে ৮৩ শতাংশ। যদিও এই পাসের হার নিয়ে ফল প্রকাশের সময় প্রশ্ন ওঠে। বলা হয় গতবছরের ব্যর্থতা ঢাকতে এবার নম্বর বাড়িয়ে দেয়া এবং বেশি পাস করানো হয়েছে। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জানিয়েছেন পাস বাড়ার ক্ষেত্রে কোন ধরনের পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি।
রেওয়াজ অনুযায়ী ৬০ দিনের মধ্যে এইচএসসি, আলিম ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের বাধ্য-বাধ্যকতা থাকায় নির্ধারিত ৬০ দিনের আগে ৫৭তম দিনে এবছরের ফলাফল প্রকাশ করা হলো। বিগত মহাজোট সরকারের সময়ে এটি চালু হওয়ার পর বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়েও এই ধারা অব্যাহত রাখতে পারায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
ফল প্রকাশ উপলক্ষে গতকাল (বৃহস্পতিবার) সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিজ্ঞান বিভাগ ও মেয়েদের সাফল্যে উৎফুল্লতা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে একধরনের ভীতি ছিল। কিন্তু আমাদের কঠোর উদ্যোগের কারণে এটা রোধ করা সম্ভব হয়েছে। সব পরীক্ষা সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোনধরনের বিশৃঙ্খলা ও অপীতিকর ঘটনার তথ্য পাওয়া যায়নি। ফলাফলে মেয়েদের সাফল্যের কথা তুলে ধরে নাহিদ বলেন, সমান সুযোগ তৈরির কারণেই মেয়েরা আগের চেয়ে এখন অনেক ভালো রেজাল্ট করছে। আটটি সাধারণ বোর্ডে ছাত্রের তুলনায় ২৯ হাজার ৩৩৫ জন বেশি ছাত্রী অংশ নিয়েছে। উত্তীর্ণও হয়েছে সাত হাজার ৬২৯ জন বেশি। পাসের হারে ছাত্রদের তুলনায় ২ দশমিক ৭১ শতাংশ বেশি ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে। বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পাসের হারের বিষয়ে তিনি বলেন, সার্বিকভাবে যেখানে পাসের হার ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ, সেখানে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা পাস করেছে ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। এমনকি এই বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মধ্যে একটি উদ্বেগের বিষয় ছিল বিজ্ঞানে আমাদের ছেলে-মেয়েরা পিছিয়ে পড়ছে। তারা বিজ্ঞানে লেখাপড়া করতে চায় না, ভাল ফল করতে পারে না। এটা আমাদের অপবাদ ছিল। আমরা আপনাদের বলেছি চেষ্টা করছি, জোর দিচ্ছি। এর একটা ইতিবাচক প্রভাব এবারের ফলাফলে আপনারা পাবেন।’ কারিগরি পরীক্ষা ফল এবার ভাল হয়েছে। কারিগরিতে এবার পাসের হার বেশি ও জিপিএ-৫ও তারা বেশি পেয়েছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মোঃ সোহরাব হোসাইন, অতিরিক্ত সচিব এ এস মাহমুদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এসএম ওয়াহিদুজ্জামানসহ সকল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দেশের ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ গণভবনে ফলাফলের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফল হাতে পেয়ে মেয়েদের এগিয়ে যাওয়ার তথ্য দেখে আনন্দ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমান তালে এগিয়ে যেতে ছেলেদের মনোযোগী হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতায় মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে, ছেলেদের পিছিয়ে থাকলে চলবে না। ঠিকমত পড়াশোনা করে আগামীতে যেন একেবার সমানে সমান হয়- সেটাই আমি দেখতে চাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাসের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আরেকটু বেশি আনন্দিত যে আমাদের মেয়ে শিক্ষার্থী বেড়ে গেছে এবং তাদের পাসের হার বাড়ছে। তবে এখানে আমি মনে করি, ছেলে-মেয়ে যেই হোক, সন্তান সন্তানই। এরা সকলেই শিক্ষার্থী। কিন্তু ছেলেদের আর একটু পড়াশোনায় মনোযোগী হতে হবে। কারণ ছেলেদের একটু বাইরে-বাইরে ঘোরা আর দুষ্টুমি করার দিকে বোধহয় নজরটা বেশি থাকে... পড়াশোনা, বই নিয়ে বসে থাকা- এই সময়টা দিতে চায় না। এজন্য অভিভাবক ও শিক্ষদের আরেকটু যতœবান হওয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, সবাই ভালোভাবে পড়াশোনা করবে, পাস করবে- সেটাই আমরা চাই।
“বাচ্চারা দুষ্টুমি করবে, খেলাধুলা করবে... আমরাও চাই খেলাধুলার দিকে মনোযোগী হোক। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, সংস্কৃতিচর্চা সবকিছুরই প্রয়োজন আছে। সবই চর্চা করতে হবে। তিনি বলেন, আমি চাই আমাদের ছেলে-মেয়ে উভয়েই মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করবে। কারণ বিশ্বের যে কোনো দেশের ছেলে-মেয়েদের থেকে আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা অত্যন্ত মেধাবীÑ এটা আমি বিশ্বাস করি। ফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সুনামগঞ্জ ও কক্সবাজার জেলায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড : ৮টি সাধারণ বোর্ডের ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে পাসের হার সবচেয়ে বেশি যশোর বোর্ডে ৮৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম পাসের হার কুমিল্লা বোর্ডে ৬৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এছাড়া ঢাকা বোর্ডে ৭৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৭৫ দশমিক ৪০ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৬৪ দশমিক ৬০ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৭০ দশমিক ১৩ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৬৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং দিনাজপুর বোর্ডে ৭০ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এই ৮টি বোর্ডের মধ্যে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৮ হাজার ৯৫০ জন। এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পেয়েছে ৪১ হাজার ৪৬৮ জন। মানবিক, ইসলামের ইতিহাস, সংগীতে পেয়েছে ২ হাজার ৭৫১ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষায় পেয়েছে ৪ হাজার ৭৩১ জন।
মাদরাসা বোর্ড : পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে মাদরাসা বোর্ড। এই বোর্ডে পাসের হার ৮৮ দশমিক ১৯ শতাংশ। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় এবছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৮৯ হাজার ৬০৩ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ৭৯ হাজার ২০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৪১৪ জন। যা গতবারের তুলনায় ৯৭৯ জন।
কারিগরি বোর্ড: এই বোর্ডে পাসের হার কিছুটা কমলেও দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে। এই বোর্ডে পাসের হার ৮৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এ বছর অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল এক লাখ ২ হাজার ২৪৮ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ৮৬ হাজার ৪৬৯ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৫৮৭ জন।
গত ৩ এপ্রিল থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়া পরীক্ষা সারাদেশে ২ হাজার ৬২১টি কেন্দ্রে ৮ হাজার ৩৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন