শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতারের দাবি ছাত্র ইউনিয়নের

প্রকাশের সময় : ১৯ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : মিরপুর সাইক ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থী ও সংগঠনের কর্মী আফসানা ফেরদৌসের খুনিদের বিচার দাবি করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা বলেছেন, সন্দেহভাজন  ছাত্রলীগ নেতা তেজগাঁও কলেজের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিনসহ যারা জড়িত, তাদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এ হত্যার আসল রহস্য বের হয়ে আসবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জি এম জিলানী এ দাবি জানান। আফসানা ফেরদৌসের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
একই সঙ্গে খুনিদের বিচার দাবিতে আগামী ২২ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর পদযাত্রা ও স্মারকলিপি দেয়ার ঘোষণা দেয় ছাত্র ইউনিয়ন। সেদিন সারা দেশে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ও ঘেরাও করা হবে বলে জানানো হয়। এ ছাড়া আগামী ১৯ আগস্ট সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।
লিখিত বক্তব্যে জি এম জিলানী শুভ বলেন, আফসানা ফেরদৌসের হত্যাকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক, তাদের গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও সোহাগী জাহান তনুর প্রকৃত সত্য উন্মোচন করে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানায় ছাত্র ইউনিয়ন।
লিখিত বক্তব্যে ছাত্র ইউনিয়ন নেতা বলেন, আফসানা হত্যার যারা বিচার চাইছে, তাদের ওপর হামলা-হুমকি দেয়ার মাধ্যমে হত্যাকারীদের রক্ষা করতে চেষ্টা করছে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন তার সহযোদ্ধা হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে আগামী দিনে আফসানা ফেরদৌসের হত্যাকারীকে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে বাধ্য করবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি লাকি আক্তার, দপ্তর সম্পাদক জ্যোতির্ময় চক্রবর্তী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি লিটন নন্দী, সাধারণ সম্পাদক তুহিন কান্তি দাস প্রমুখ।
গত ১১ আগস্ট নিখোঁজ হন আফসানা ফেরদৌস। ১৩ আগস্ট আফসানার মায়ের কাছে দু’টি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বলা হয়- তাঁর মেয়ের লাশ মিরপুর আল হেলাল হাসপাতালে আছে। পরে আফসানার মা ঢাকায় বসবাসকারী তাঁর মামাকে জানান। পুলিশের সহায়তায় পরিবার জানতে পারে দু’জন অপরিচিত লোক আল-হেলালের জরুরি বিভাগে আফসানাকে রেখে পালিয়ে যায়। আল হেলালের চিকিৎসক আফসানাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন