স্টাফ রিপোর্টার : দেশে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা নেই জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী ২৯ জানুয়ারির আগে ৯০ দিনের মধ্যে যে কোনোদিন ভোট হবে। সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার একদিন আগেও নির্বাচন হবে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সম্প্রতি বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট শরিক এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব:) অলি আহমেদ সংবাদ সম্মেলন করে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন এই বক্তব্যের বিষয়ে ইঙ্গিত করে তোফায়েল বলেন, সেদিন একজনকে দেখলাম মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি করছেন। কিসের মধ্যবর্তী নির্বাচন? কী কারণে মধ্যবর্তী নির্বাচন?
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও শেখ হাসিনার অধীনেই হবে জানিয়ে তোফায়েল বলেন, অংশ নিতে চাইলে তার অধীনেই আসতে হবে।
খালেদা জিয়ার জাতীয় ঐক্যের আহ্বান সম্পর্কে তোফায়েল আহমেদ বলেন, কার সঙ্গে ঐক্য হবে? যারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে তাদের সঙ্গে? যারা ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎবার্ষিকীতে কেক কেটে ফুর্তি করে তাদের সঙ্গে? যারা জঙ্গিদেরকে সমর্থন করে এমনকি যারা কল্যাণপুরে নিহত সন্ত্রাসীদের পক্ষে কথা বলে তাদের সঙ্গে?
বিএনপি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুনর্বাসিত করেছে অভিযোগ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়া ও এরশাদের সামরিক স্বৈরশাসন ছিল ১৫ বছর। তারপর ’৯১ সালে আসে খালেদা জিয়ার সরকার। তারা স্বাধীনতাবিরোধীদের শুধু নয়, বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরও আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে। ফারুক, ডালিম, নূর, মহিউদ্দিনদের বিদেশী দূতাবাসে চাকরি দিয়েছে। এমনকি ১৯৯৬ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচনে জিতিয়ে এনে খুনি রশিদকে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা বানিয়েছেন খালেদা জিয়া।
আবিদ আল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার, এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, বর্তমান সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন