শাবি সংবাদদাতা : জঙ্গি সন্দেহে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। আটককৃত সাদমান আবেদীন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
সে ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানার আলমবাজার ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ^বিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবন থেকে ওই শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। বিশ^বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক রাশেদ তালুকদার বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানি না। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সাদমানকে আটক করার কথা জানান সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মো: রহমত উল্লাহ।
এর আগে একই কার্যক্রমে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ১৮ জুলাই এবং ২ আগস্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দু’জন এবং ৩ আগস্ট ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সাবেক এক শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ।
প্রশাসনিক পদ থেকে চার শিক্ষকের পদত্যাগ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে চার শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগকারী শিক্ষকরা হলেন শাহপরান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মুহসীন আজিজ খান, সহকারি প্রক্টর জাহিদ হাসান, প্রথম ছাত্রী হলের সহকারী প্রভোস্ট শান্তা সাহা ও বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের সহকারী প্রভোস্ট সৈয়দা কামরুন নাহার। পদত্যাগকারী চারজনই বিশ^বিদ্যালয়ের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তচিন্তা চর্চায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক ফোরামের সমর্থক। গত বুধবার সন্ধ্যায় তারা ওই শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আখতারুল ইসলামের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
এব্যাপারে শাহপরান হলের প্রভোস্ট মুহসিন আজিজ খান জানান, যেহেতু আমরা একটি শিক্ষক গ্রুপের মাধ্যমে প্রশাসনিক দায়িত্বে এসেছি তাই আমাদের গ্রুপের আহ্বায়কের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। এছাড়া তাদের পদত্যাগের কারণ গ্রুপের আহ্বায়ক ভাল বলতে পারবেন বলে তিনি জানান।
এদিকে শিক্ষকদের পদত্যাগকে অভিযোগ হিসেবে উল্লেখ করে শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আখতারুল ইসলাম বলেন, গ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন কারনে তারা পদত্যাগ করে থাকতে পারেন। তাদের অভিযোগ নিয়ে গ্রুপ মিটিংয়ে আলোচনা করা হবে।
এ বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্টার ইশফাকুল হোসেন বলেন, আমার কাছে এখনো পদত্যাগপত্র আসেনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন