নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম.পি বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২য় বিপ্লব ঘোষণা করার পরেই বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে স্বাধীনতা বিরোধী জিয়ারা ক্ষমতা কুক্ষিগত করে ছিল। খুঁনি জিয়া ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সংসদে আইন পাশ করে বঙ্গবন্ধুর খুঁনিদের বিচার না করে ক্ষমা করে দিয়েছিল। এরপর এরশাদ ধর্মকে পুঁজিকরে গণতান্ত্রিক ব্যাক্তিদের কে নির্যাতন হত্যা ও মামলা এবং সান্ধ্য আইন করে ৯ বছর অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে ছিল। বেগম খালেদা জিয়াও একই ভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিভিন্ন ভাবে হত্যাযজ্ঞ ও লুটপাট, হামলা-মামলা চালিয়ে এদেশকে পঙ্গুকরে দিয়েছিল। সেই সাথে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর এদেশের উন্নয়ন মূখ থুবড়ে পড়েছিল। জিয়া-এরশাদ-খালেদারা জামাত,শিবির এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে ঐক্যগড়ে দেশের সম্পদ লুট ও ইতিহাসকে কলঙ্কিত করে এদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিনত করেছিল।
সেই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরী মানবতার জননী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার ঘুরে দাড়িয়েছে। দেশের মানুষ নিরাপত্তা ও শান্তিতে বসবাস করছে। কৃষি ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটেছে, এখন আর কোন কৃষক ভাইকে সারের জন্য জীবন দিতে হয় না। টাকা ও বইয়ের অভাবে কোন শিক্ষার্থীর পড়া লেখা বন্ধ হয়ে যায় না। কাউকে বিনা চিকিৎস্যায় জীবন দিতে হয় না। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না। আগামী ১৬ ডিসেম্বর এদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের শতভাগ বিদ্যুৎ ঘোষনা করবেন। দেশের এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে শেখ হাসিনার সরকারের আমলে উন্নয়ন সাধিত হয়নাই। বৈশিক মহামারী করোনার মধ্যেও বাংলাদেশের উন্নয়ন থেমে নেই। এই শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ হবে।
তিনি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, বিএনপিকে না কি মাইনাস করার চিন্তা চলছে। উনি হয়তো জানেন না এদেশের জনগণ বিএনপিকে অনেক আগেই মাইনাস করেছে। এদেশে বিএনপি’র কথা আর কেউ শুনতে চায়না। বিএনপি বলতে এদেশে কিছু নেই। বিএনপি বলেতে শুধু বিএনপি’র আপোষহীন খ্যাত নেত্রী সাজাপ্রাপ্ত বেগম খালেদা জিয়া নির্বাহী আদেশে জেলের বাইরে বাড়ীতে অবস্থান করছেন এবং অপরাধী পলাতক চোর তারেক জিয়া লন্ডনে বসে আছেন। এই হচ্ছে বিএনপি’র অবস্থা।
শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বিরল উপজেলা পরিষদের হলরুমে কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামুল্যে বীজ ও রাসানিক সার বিতরনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, বিরল উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব সবুজার সিদ্দিক সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমা কান্ত রায় এবং কৃষকলীগের সভাপতি মজিবর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি অফিসার মাহবুবার রহমান। প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানের পরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদণা বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করেন এবং ৫টি ধর্মীও প্রতিষ্ঠান, ১টি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, ১৬টি পঙ্গু ও ভিক্ষুক দুঃস্থ্য পরিবারের মাঝে সরকারী অনুদানের ২ বান্ডিল করে ঢেউটিন এবং ঘর নির্মাণ খরচ বাবদ নগদ ৬ হাজার টাকা করে প্রদান করেন। বিকালে তিনি মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীন ভ’মিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর শেষে উপজেলার বিজোড়া স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এক সূধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। এর আগে তিনি সকালে উপজেলার ধুকুরঝাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় এবং কলেজে নির্মিত চারতলা ভিত বিশিষ্ট একতলা একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন ও ধকুরঝাড়ী ডিসি হতে তেঁতুলতলা আর এম ডি পর্যন্ত রাস্তা উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন