শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ভ্যাকসিন পেতে সরকার সব পথই খোলা রেখেছে

কোভিড-১৯ এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য অবহিতকরণ সভায় বক্তারা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০২০, ৭:৪১ পিএম

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পেতে সরকার সব পথই খোলা রেখে কাজ করছে। ইতোমধ্যেই ‘ন্যাশনাল ভ্যাকসিন ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান ফর কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ইন বাংলাদেশ’-এর কাজ শেষ হয়েছে। আগামী দুই একদিনের মধ্যেই তা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে। আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন জোট গ্যাভি’র (দ্য গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস) মাধ্যমে ভ্যাকসিন প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও পিছিয়ে থাকতে রাজি নয় সরকার। তাই আগামী মাসের ৭ তারিখ আবেদন করার শুরুর দিনই সব শর্ত পূরণ করে গ্যাভির কাছে আবেদন করতে চায় সরকার।

বুধবার (২৫ নভেম্বর) ‘কোভিড-১৯ এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক অন্যান্য হালনাগাদ তথ্য অবহিতকরণ সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। সভায় আরো জানানো হয়, গত জুলাই মাসে বাংলাদেশ কোভ্যাক্সে আবেদন করে এবং গ্যাভি সেটি গ্রহণ করে গত ১৪ জুলাই। গ্যাভি কোভ্যাক্স সুবিধা থেকে বাংলাদেশ ৬৮ মিলিয়ন বা ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন পাবে। জনপ্রতি দুই ডোজ করে এই ভ্যাকসিন দিতে হবে। মোট জনসংখ্যার শতকরা ২০ শতাংশ হারে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে প্রায় ১৩ কোটি মানুষ এই ভ্যাকসিন পাবে।

গ্যাভি ভ্যাকসিন ছাড়াও সরকার সরাসরি ভ্যাকসিন কেনার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। সেই লক্ষ্যে সরকার ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট ও দেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ অক্সফোর্ডের এক্সট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন কিনতে পারবে চার ডলারের বিনিময়ে। তবে এর সাথে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে পরিবহন খরচ সব মিলিয়ে আরো এক ডলার যুক্ত হবে। সেখান থেকে বাংলাদেশ কিনতে পারবে ৩০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন। আর এজন্য অর্থ বিভাগ প্রায় ৭৩৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এই সভায় এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) মা, নবজাতক, শিশু ও কিশোরী স্বাস্থ্য কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। বক্তব্য রাখেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) প্রফেসর ডা. নাসিমা সুলতানা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) পরিচালক আবু হেনা মোরশেদ জামান, ও হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ। বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেন অধিদফতরের পরিচালক ও সিডিসি’র লাইন ডিরেক্টর প্রফেসর ডা. শাহনীলা ফেরদৌসী, হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিয়া, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক প্রফেসর ডা. তাহমিনা শিরিন, এমআইএস শাখার পরিচালক ডা. মো হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, আগামী মাসের মধ্যে যেসব পরীক্ষাগারে (জেলা সদর হাসপাতালে আরটি পিসিআর ল্যাব নেই) এবং সংক্রমণের মাত্রা বেশি সেইসব এলাকায় এন্টিজেন পরীক্ষা চালু করা হবে। এই কাজের জন্য প্রশিক্ষিত জনবল তৈরিতে আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হচ্ছে প্রশিক্ষণ। এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়ে গেছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে প্রফেসর ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, দেশে এ পর্যন্ত ১১৭ টি পরীক্ষাগারে কোভিড-১৯ নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই সুবিধা দিয়ে দৈনিক ৫০ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। কিন্তু জনগণ নমুনা পরীক্ষা করাতে আসছে না। ফলে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ছে না।

কিট সংকট প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের উত্তরে আবু হেনা মোরশেদ জামান বলেন, কিটের কোন সংকট নেই। গত মঙ্গলবারের হিসাব অনুযায়ী স্টোরে আছে এক লাখ ৮২ হাজার ৬৯১টি কিট। আগামী দুই দিনের মধ্যে যুক্ত হতে যাচ্ছে ৫৫ হাজার কিট। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে যুক্ত হচ্ছে সাড়ে ৪ লাখ কিট। তাই বলতে পারি কিটের কোন সংকট নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন